যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়া হলো না মা-মেয়ের

ক্যানসার আক্রান্ত মায়ের চিকিৎসার জন্য অ্যাম্বুলেন্সযোগে ঢাকা যাওয়ার পথে লাশ হয়ে ফিরতে হলো আমেরিকা প্রবাসী লুৎফুন্নাহার লিমাকে। মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন অ্যাম্বুলেন্সচালকসহ ৬ জন।

নিহতরা হলেন পটুয়াখালীর বাউফলের লুৎফুন্নাহার লিমা, তার মা জাহানারা বেগম, চাচাতো ভাই ফজলে রাব্বী, খুলনার দিঘলিয়ার রবিউল ইসলাম, মাদারীপুরের মস্তফাপুরের জিলানী মৃধা, বরিশালের আগৈলঝাড়ার মাসুদ রানা। দুই থেকে তিন মাসের মধ্যে মা জাহানারা বেগমকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে যাওয়ার কথা ছিল তাঁর।

মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) ভোর ৪টার দিকে পদ্মা সেতুর সংযোগ সড়কের নাওডোবা সেতুর কাছে এ দুর্ঘটনা ঘটে। পরিচয় নিশ্চিত হয়ে মরদেহ হস্তান্তর করছে পুলিশ।

দুর্ঘটনায় নিহত লুৎফুন্নাহার লিমা আমেরিকার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্সের শিক্ষার্থী ছিলেন। গত ১ বছর ধরে মায়ের চিকিৎসা করাতে তিনি দেশে অবস্থান করছিলেন। মা সুস্থ হলে মাকে নিয়ে আমেরিকা যাওয়ার কথা ছিল তার।

পুলিশ ও নিহতের স্বজনরা জানায়, পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্তের নাওডোবা সেতু এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তাদের বহনকারী অ্যাম্বুলেন্স পেছন থেকে একটি গ্যাস সিলিন্ডার বোঝাই ট্রাককে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই ট্রাকের নিচে চাপা পড়ে দুমড়ে-মুচড়ে যায় অ্যাম্বুলেন্সটি। এ সময় অ্যাম্বুলেন্সে থাকা ৬ আরোহী নিহত হন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে হাইওয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা।

নিহত লিমার বোন শিল্পী আকতার জানান, লিমা দীর্ঘদিন আমেরিকার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্সে অধ্যয়নরত ছিল। মায়ের অসুস্থতার খবরে গত বছর সে দেশে আসে। এক বছর যাবত মায়ের চিকিৎসার জন্য দেশেই অবস্থান করছিল লিমা। গত রাতে অবস্থার অবনতি হলে মাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা নেয়ার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় মা-বোন দুজনকেই হারাতে হলো।

এআর-০৩/১৭/০১ (আঞ্চলিক ডেস্ক)