উপনির্বাচনে থাকছে না সিসি ক্যামেরা

বিএনপির এমপিদের পদত্যাগে ছয়টি সংসদীয় আসন শূন্য হয়েছে। সেগুলোতে আগামী ১ ফেব্রুয়ারি উপনির্বাচন হবে। তবে এই ছয় আসনের উপনির্বাচনে কেন্দ্রগুলোতে সিসি ক্যামেরা থাকছে না উল্লেখ করে নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা বলেছেন, ‘তবে নির্বাচনে কোনও অনিয়ম বিশৃঙ্খলা হলে যে পর্যায়ে বিঘ্ন ঘটবে সে পর্যায়ে ভোট বন্ধ করে দেওয়া হবে। আমরা একটা ভালো পরিবেশে ভোট করতে চাই- এটাই নির্বাচন কমিশনের শেষ কথা।’

বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) বিকাল ৫টায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও নির্বাচনি প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।

রাশেদা সুলতানা জানান, ‘নির্বাচনে দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের সর্তকতার সঙ্গে ভোট গ্রহণ সম্পন্ন করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ভোটে পক্ষপাতিত্ব করার কোনও সুযোগ নেই। জনগণ তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করবেন। ইসি তাদের নিজ দায়িত্ব পালন করবে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্পন্ন করতে।’

বিএনপির নির্বাচনে আসা নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা নতুন কমিশন আসার পর থেকেই তাদের নির্বাচনে আসার জন্য আহ্বান জানিয়েছে আসছি। বলেছি, প্রতিনিধিত্বমূলক ও প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করতে। আমরা চাই, বিএনপি নির্বাচনে আসুক এবং সুন্দর একটি নির্বাচন হোক। বিএনপি এলে আমরা খুশি হবো।’

রাশেদা সুলতানা বলেন, ‘দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ১৫০ আসনে ইভিএমে ভোট গ্রহণে কমিশনের পক্ষ থেকে প্রকল্প দেওয়া হলেও; অর্থ সংস্থান না হওয়ায় যে কয়টি ইভিএম আছে সে কটিতেই ইভিএমে ভোট নেওয়া হবে।’

তিনি বলেন, ‘এদিকে, নির্বাচনে কোনও অনিয়ম এবং আচরণবিধি লঙ্ঘন হলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে জেলা পুলিশের সঙ্গে গোয়েন্দা পুলিশ এবং স্ট্রাইকিং ফোর্স, জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে থাকবে।’

এআর-০৮/১৯/০১ (ন্যাশনাল ডেস্ক)