রমজানেও কর্মসূচি চলমান রাখবে বিএনপি

দেশের বিরাজমান পরিস্থিতির আলোকে রমজানেও কর্মসূচি চলমান রাখার ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি।

শুক্রবার রাজধানীর লেডিজ ক্লাবে এক ইফতার মাহফিলে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এসব কর্মসূচির ঘোষণা দেন। আলেম-ওলামা ও এতিমদের সম্মানে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বিএনপি।

কর্মসূচি ঘোষণা করে মির্জা ফখরুল বলেন, এই রমজান মাসেও যে সমস্ত জিনিসগুলো মানুষকে কষ্ট দেয় তার প্রেক্ষিতে বিএনপির চলমান আন্দোলন অব্যাহত রাখব।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘রমজান মাসে রাজনৈতিক কর্মসূচি দেওয়ার কথা নয়। কিন্তু আজকে দেশে যে অবস্থা তৈরি হয়েছে, আমরা বাধ্য হয়েছি এই রমজান মাসেও সাধারণ মানুষকে মুক্ত করার, সর্বোপরি গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের যে আন্দোলন, তা চলমান রাখতে চাই। সেকারণেই আমরা এসব কর্মসূচি দিয়েছি। আমরা আশা করব সাধারণ মানুষ এসব কর্মসূচি সফল করবে।’

ঘোষিত কর্মসূচি হলো, ১ এপ্রিল শনিবার সারা দেশের সকল মহানগর ও জেলায় বেলা ২টা থেকে ৪টা পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি। ৮ এপ্রিল শনিবার সারা দেশের সকল মহানগরের থানা পর্যায়ে ও জেলার উপজেলা পর্যায়ে বেলা ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি। ৯ এপ্রিল থেকে ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত বিভাগীয় শহরগুলোতে বিকেল ৪টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সারা দেশের সকল ইউনিয়ন পর্যায়ে প্রচারপত্র বিলি, মানববন্ধন করা হবে। এর মধ্যে ৯ এপ্রিল, রংপুর ও চট্টগ্রাম বিভাগ। ১০ এপ্রিল, রাজশাহী ও সিলেট বিভাগ। ১১ এপ্রিল, খুলনা ও কুমিল্লা বিভাগ। ১২ এপ্রিল, ঢাকা ও বরিশাল বিভাগ। ১৩ এপ্রিল, ময়মনসিংহ ও ফরিদপুর বিভাগ।

এ ছাড়া ২৮ মার্চ থেকে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত সারা দেশের সকল জেলা/মহানগর, উপজেলা, থানা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের সহিত মতবিনিময় সভা, দুস্থ, অসহায় ও ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের সহায়তাসহ বিভিন্ন গণসংযোগমূলক কর্মসূচিতে বিএনপির সকল পর্যায়ের নেতা-কর্মী অংশগ্রহণ করবেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এমন এক সময়ে আমরা ইফতার মাহফিল করছি যখন দেশে সাধারণ মানুষ অত্যন্ত কষ্টে দিন যাপন করছে। ইফতারের সময় ন্যূনতম যে খাদ্যদ্রব্য দরকার, সেগুলোর দাম আকাশচুম্বী যা সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে গেছে। প্রতিটি জিনিসের দাম আজকে বেড়ে গেছে। এই দাম বাড়ার মূল কারণ হচ্ছে আওয়ামী সরকারের অব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতি। আওয়ামী লীগের সিন্ডিকেটের কারসাজিতে দ্রব্যমূল্য বেড়ে যাওয়ায় মানুষ কষ্ট পাচ্ছে। সাধারণ মানুষের শ্বাস রুদ্ধ হয়ে আসছে। আমরা এই দুঃসহ অবস্থার অবসান চাই। এই অবস্থায় আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যেসব বিষয় মানুষের জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলেছে, তা নিজে আমরা আমাদের কর্মসূচি চলমান রাখব।

ইফতারে অংশ নেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমানউল্লাহ আমান, আব্দুস সালাম, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, বিএনপির চেয়ারপারসন মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার ও শায়রুল কবির খান প্রমুখ।

এআর-০২/২৪/০৩ (ন্যাশনাল ডেস্ক)