লন্ডন থেকে নাজিল হওয়া ওহি মানতে বাধ্য হন ফখরুলরা : কাদের

বিএনপির অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে মির্জা ফখরুলদের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নেই বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মর্মবেদনা আমরা বুঝি। সুদূর লন্ডন থেকে যে ওহি নাজিল হয়, যে সিদ্ধান্ত আসে, মুখ বন্ধ করে তা মেনে নিতে বাধ্য হন ফখরুল সাহেবরা।’ শুক্রবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের।

সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘দণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামির প্রেসক্রিপশনে পরিচালিত হয় বিএনপি, অগণতান্ত্রিক ও অগঠনতান্ত্রিকভাবে কমিটি ভাঙে-গড়ে, বহিষ্কার-পুরস্কার নির্ধারিত হয় এবং কমিটি ও মনোনয়ন নিয়ে বাণিজ্য চলে।’

ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ‘আয়নার সামনে নিজের অসহায়-নিরুপায়-পরাধীন চেহারা দেখতে দেখতে বিএনপির মহাসচিব ফখরুল সাহেব জনগণের বাক-স্বাধীনতাকে ওই একই ফ্রেমে বন্দি করে ফেলেছেন। তাই মির্জা ফখরুল সাহেব তোতা পাখির মতো সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদ্গারে লিপ্ত থাকেন।’

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মানুষের বাক, ব্যক্তি ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার কথা বলেছেন। মির্জা ফখরুলের এমন বক্তব্য ভূতের মুখে রামনাম ছাড়া কিছু নয়। কারণ বিএনপি কখনোই জনগণের বাক-স্বাধীনতা ও জনমতকে ধারণ করেনি। বিএনপির জন্মই হয়েছিল বন্দুকের নলের মুখে জনগণকে জিম্মি করে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের মধ্য দিয়ে।’

তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সবসময় জনগণের বাক-স্বাধীনতা ও মতপ্রকাশের অবাধ সুযোগ প্রতিষ্ঠায় অবিরাম আন্দোলন-সংগ্রাম চালিয়ে আসছে। সফল রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার সুদক্ষ নেতৃত্বে বাংলাদেশে মানুষের বাক, ব্যক্তি ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সুসংহত হয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের মধ্য দিয়ে মতপ্রকাশের দ্বার উন্মোচন হয়েছে।’

সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘অর্ধশতাধিক বেসরকারি টেলিভিশন, এফএম রেডিও, কমিউনিটি রেডিও এবং সহস্রাধিক সংবাদপত্রের নিবন্ধন দিয়ে সরকার মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে সম্প্রসারিত করেছে। সেইসঙ্গে ডিজিটাল বাংলাদেশের কল্যাণে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বাক, ব্যক্তি ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠার দুয়ার উন্মুক্ত হয়েছে।’

মতপ্রকাশের স্বাধীনতার সুযোগের অপব্যবহার করে মির্জা ফখরুলসহ বিএনপির নেতারা প্রতিনিয়ত সরকারের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করে যাচ্ছেন এমন মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘শুধু বাক-স্বাধীনতা ভোগ করাই নয়, নিজেদের ইচ্ছামতো মনগড়া অপপ্রচার চালাতেও তারা কুণ্ঠাবোধ করেন না।’

এআর-০৫/২৪/০৩ (ন্যাশনাল ডেস্ক)