‘ডেটিং অ্যাপের ফাঁদে পড়ে হত্যার শিকার স্থপতি ইমতিয়াজ’

স্থপতি ইমতিয়াজ মোহাম্মদ ভূঁইয়া (৪৭) হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। একটি গে ডেটিং অ্যাপের মাধ্যমে তাকে ফাঁদে ফেলে কলাবাগানের ক্রিসেন্ট রোডের একটি বাসায় ডেকে নিয়ে খুন করা হয়।

সোমবার (২৭ মার্চ) দুপুর ১২টার দিকে মিন্টো রোডে মহানগর গোয়েন্দা কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান হারুন অর রশীদ।

তিনি জানান, ইমতিয়াজ হত্যা মামলায় এখন পর্যন্ত তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা হলেন– মিল্লাদ হোসেন মুন্না (১৯), আনোয়ার হোসেন (৩৮) ও এহসান ওরফে মেঘ (হিজড়া) (২৩)। এ সময় তাদের কাছ থেকে হত্যার পর লাশ বহনের কাজে ব্যবহৃত একটি প্রাইভেটকার উদ্ধার করা হয়েছে।

হারুন অর রশীদ বলেন, আসামিরা সমকামী এবং হিজড়া। তারা একটি গে ডেটিং অ্যাপের মাধ্যমে সমকামী বিভিন্ন লোকজনকে টার্গেট করে। এরপর রুমডেটের কথা বলে তাদের বিভিন্ন বাসায় ডেকে নিয়ে ব্ল্যাকমেইল করে টাকা-পয়সা ছিনিয়ে নিয়ে আসছিল। গত ৭ মার্চ ইমতিয়াজ কলাবাগানের ওই বাসায় যান। পরে আলিফের সঙ্গে একান্তে একটি রুমে ছিলেন। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী আলিফের সহযোগী আরাফাত, মেঘ, মুন্না ও আনোয়ার রুমে প্রবেশ করে ভিকটিমকে মারধর শুরু করে। এরপর তার কাছ থেকে বড় অঙ্কের টাকা দাবি করে। টাকা দিতে অস্বীকার করলে আসামিরা ইমতিয়াজের বুকে, পিঠে আঘাতসহ প্রচণ্ড মারধর করে। এতে তার মৃত্যু হয়। এরপর আসামিরা কৌশলে বাসা থেকে তার মরদেহ নামিয়ে মেঘের প্রাইভেটকারে উঠিয়ে মুন্সীগঞ্জ জেলার সিরাজদিখান থানা এলাকার কামারকান্দা গ্রামের নবাবগঞ্জ হাইওয়ে রোডের পাশে ঝোপে ফেলে দেয়।

গত ৭ মার্চ রাজধানীর কলাবাগান থেকে স্থপতি ইমতিয়াজ মোহাম্মদ ভূঁইয়া নিখোঁজ হন। পরদিন ৮ মার্চ তার পরিবার কলাবাগান থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে। ওই দিনই মুন্সীগঞ্জে হাইওয়ে রোডের পাশের ঝোপ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

এআর-১২/২৭/০৩ (ন্যাশনাল ডেস্ক)