ইসরায়েলে ফিলিস্তিনির মৃত্যু, প্রতিবাদে গাজা থেকে রকেট হামলা

ইসরায়েলের কারাগারে আমরণ অনশনরত ফিলিস্তিনি বন্দির মৃত্যুর প্রতিবাদে অধ্যুষিত গাজা উপত্যকা থেকে রকেট ছোড়া হয়েছে। নিজস্ব প্রতিবেদকের বরাত দিয়ে এমন খবর প্রকাশ করেছে বার্তা সংস্থা এএফপি।

প্রতিবেদনে বলা হয়, কারাগারে এই ফিলিস্তিনি অধিকারকর্মীর মৃত্যৃর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সকালে গাজা উপত্যকা থেকে রকেট ছোড়া হয়।

ইসরায়েলি কারাগারে মঙ্গলবার ভোরে মৃত্যু হয় খাদের আদনান নামের এই অধিকারকর্মীর। ইসলামি জিহাদ গ্রুপের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা থাকার অভিযোগে তাকে আটক করেছিল দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী। তবে ‘অবৈধভাবে’ আটকে রাখার প্রতিবাদে তিন মাস আগে আমরণ অনশন শুরু করেন আদনান।

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, রকেট হামলার সতর্কবার্তা হিসেবে গাজা সীমান্তের কাছে ‘কিবুতজ সাদ’ এলাকায় সাইরেন বাজানো হয়।

ইসরায়েলের কারাগারে ইসলামিক জিহাদি গোষ্ঠীর নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিত্ব খাদের আদনানের মৃত্যুর পর এমন রকেট হামলা শুরু হয়।

ইসরায়েলের কারাগার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে ‘একজন জাতীয় নিরাপত্তা বন্দি… (যিনি) চলতি বছরের ৫ ফেব্রুয়ারি অনশন শুরু করেছিলেন, তিনি মঙ্গলবার ভোরে মারা গেছেন।’

ইসলামিক জিহাদ গোষ্ঠী এক বিবৃতিতে আদনানকে ‘বীর’ উল্লেখ করে তার মৃত্যুতে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

জঙ্গি গোষ্ঠীর তথ্য অনুসারে, ৫ ফেব্রুয়ারি জেনিনের পশ্চিম তীরের শহরের কাছে তার বাড়ি থেকে ইসরায়েলি বাহিনী তাকে গ্রেপ্তার করে।

গত সপ্তাহে, আদনানের স্ত্রী রান্ডা মুসা এএফপিকে বলেছিলেন যে তাকে মধ্য ইসরায়েলের রামলা কারাগারের ক্লিনিকে রাখা হয়।

তার স্ত্রী আরও বলেন, (তিনি) সেখানে সব ধরনের সহায়তা প্রত্যাখ্যান করেন, মেডিকেল পরীক্ষাও সেবাও প্রত্যাখ্যান করেন, তিনি ভয়াবহ অমানবেতর ভাবে একটি কক্ষে বন্দি ছিলেন।

তার স্ত্রী আরও বলেন, তারা (ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী) তাকে বেসামরিক হাসপাতালে স্থানান্তর করতে অস্বীকার করেছে, তারা তাকে আইনজীবীর সাক্ষাতের অনুমতি দিতে অস্বীকার করেছে।

ইসরায়েলি কারাগারে মৃত্যু হয়েছে খাদের আদনান নামে এক ফিলিস্তিনি বন্দির। ইসলামি জিহাদ গ্রপের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা থাকার অভিযোগে তাকে আটক করেছিল দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী। তবে ‘অবৈধভাবে’ আটকে রাখায় তিন মাস আগে আমরণ অনশন শুরু করেন আদনান। অনশন অবস্থাতেই মঙ্গলবার ভোরে মৃত্যু হয় খাদের আদনানের।

এ বছরের ৫ ফেব্রুয়ারি আদনানকে আটক করা হয়। এর কয়েকদিন পরই আমরণ অনশন শুরু করেন তিনি। এর আগে ২০১৫ সালে এই অধিকারকর্মী অনশন করেছিলেন। সেই সময় টানা ৫৫ দিন কোনো খাবার খাননি তিনি।

এআর-০৪/০২/০৫ (আন্তর্জাতিক ডেস্ক)