রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে এক গৃহবধূর মরদেহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন হাসপাতালেই ফেলে পালিয়েছেন অভিযোগ উঠেছে।
রোববার দিবাগত রাতে রামেক হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটেছে। পরে গৃহবধূর পরিবারের লোকজন ও পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় ওই গৃহবধূর স্বামী, শ্বশুর-শাশুড়িসহ চারজনের নামে কাশিয়াডাঙ্গা থানায় আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ৩ বছর আগে পার্শ্ববর্তী কাঠালবাড়িয়া এলাকার আতিকুল ইসলাম টনির বিয়ে হয় মাহজুবা খাতুন আঁখি। বিয়ের পর থেকেই টনি এবং তাঁর বাড়ির লোকজন আঁখিকে নির্যাতন করতেন। রোববার দিবাগত রাতে টনির প্রতিবেশী এক নারী, আঁখির বাবা আরশাদ আলীর বাড়িতে গিয়ে খবর দেন তাঁর মেয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
এরপর দ্রুত হাসপাতালে যান আঁখির বাবা আরশাদ আলী এবং তাঁর নিকটাত্মীয়রা। সেখানে পৌঁছে আরশাদ দেখেন, তাঁর মেয়ে মৃত অবস্থায় রামেক হাসপাতালের ট্রলির ওপরে পড়ে রয়েছে। আঁখিকে মৃত অবস্থায় রেখে তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকেরা পালিয়ে গেছেন বলে জানতে পারেন তিনি।
এ বিষয়ে কাশিয়াডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘ময়নাতদন্তের পর সোমবার বিকেলে আঁখির লাশ নিকটাত্মীয়দের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় নিহত আঁখির স্বামী, শ্বশুর-শাশুড়িসহ চারজনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের হয়েছে।’ ‘ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর বিষয়টি সম্পর্কে স্পষ্ট হওয়া যাবে। তবে আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান শুরু করেছে।’
এআর-০৯/১৬/০৫ (উত্তরাঞ্চল ডেস্ক)