অপহরণের পর ফেসবুকে বিজ্ঞাপন দিয়ে শিশু বিক্রি, গ্রেপ্তার ৫

ঢাকার মোহাম্মদপুরের ঢাকা উদ্যান থেকে গত ২৬ এপ্রিল অপহৃত হয় ৩ বছরের এক শিশু। চকলেটের লোভ দেখিয়ে অপহরণের পর শিশুটিকে ২ লাখ টাকায় বিক্রি করে অপহরণকারীরা।

অবশেষে ওই শিশুকে গোপালগঞ্জ থেকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করেছে র‍্যাব-২। অপহরণকারী চক্রের মূলহোতা পীযুষ দম্পতিসহ ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে র‍্যাব-২ এর অধিনায়ক আনোয়ার হোসেন খান এসব তথ্য জানান।

মূলহোতা পীযূষ কান্তি পাল (২৯) ও তার স্ত্রী রিদ্ধিতা পালকে (২৫) ঢাকার সাভার এলাকায় অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

র‍্যাব জানায়, ওই দম্পতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি গ্রুপ খুলে সন্তান বিক্রির বিজ্ঞাপন দিয়ে আসছিলেন। আসামি পীযূষ ও রিদ্ধিতা বিভিন্ন এলাকা থেকে শিশু অপহরণ করে ওই গ্রুপের মাধ্যমে বিক্রি করতেন।

২৬ এপ্রিল তারা ঢাকা উদ্যান এলাকায় মো. দেলোয়ার হোসেনের শিশুসন্তান মো. সিদ্দিককে (৩) চকলেটের লোভ দেখিয়ে কোলে করে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় উঠিয়ে সাভারে তার বাসায় নিয়ে যায়।

পরে তারা ওই ফেসবুক গ্রুপের মাধ্যমে শিশুটিকে নিজেদের সন্তান দাবি করে সুজন নামে একজনের মাধ্যমে পল্লব কান্তি বিশ্বাস (৫২) ও তার স্ত্রী বেবী সরকার (৪৬) দম্পতির কাছে ২ লাখ টাকায় বিক্রি করে।

এদিকে, সন্তানকে খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে ২৭ এপ্রিল মোহাম্মদপুর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন দেলোয়ার। পরে মোহাম্মদপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলাও করেন তিনি।

শিশু সিদ্দিককে উদ্ধারে দেরি হওয়ায় বাবা দেলোয়ার র‌্যাব-২ এর কাছে অভিযোগ করেন। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তদন্তের পর গত ১৮ মে শিশু বিক্রির সঙ্গে জড়িত সুজনকে শাহবাগ এলাকা থেকে আটক করে র‍্যাব।

তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী পরে গোপালগঞ্জ জেলার কোটালীপাড়া থানার তাড়াসি গ্রামে অভিযান চালিয়ে সুজনের আত্মীয় পল্লব ও বেবীর বাড়ি থেকে শিশু সিদ্দিককে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করে র‍্যাব।

এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলে জানিয়েছে র‍্যাব।

এআর-১০/১৯/০৫ (ন্যাশনাল ডেস্ক)