সরকার লুটপাটের জন্য ঋণ করে ঘি খাওয়ার বড় বাজেট দিয়েছে বলে দাবি করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, আওয়ামী অর্থনীতি বাস্তবায়নে স্মার্টলি লুটপাটের জন্য বাজেট দিয়েছে সরকার। ঋণ করে ঘি খাওয়ার জন্য এত বড় বাজেট দেওয়া হয়েছে। এর বোঝা জনগণকে বইতে হবে।
বৃহস্পতিবার (১ জুন) বিকেলে রাজধানীর বনানীর নিজ বাড়িতে তাৎক্ষণিক এক বাজেট প্রতিক্রিয়ায় এসব কথা বলেন তিনি।
সাংবাদিকদের বাজেট নিয়ে প্রতিক্রিয়া দেওয়ার সময় তার বাড়িতে গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা অবস্থান করছেন জানিয়ে তা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন আমির খসরু।
তিনি বলেন, এ ধরনের একটা সরকার দেশের জন্য কী ধরনের বাজেট দেবে তা বোঝাই যাচ্ছে। বিরোধী দলের প্রতিক্রিয়া শুনতেও রাজি নয় তারা।
সরকার লাখ-লাখ কোটি টাকা বিদেশে প্রচার করছে বলে দাবি করে সাবেক এই বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, অথচ দেশে রিজার্ভের টাকা নেই।
সাধারণ মানুষ অনেকে আজ ঋণ করে চলছেন দাবি করে খসরু বলেন, তাদের সঞ্চয় শেষ হয়ে গেছে। অনেকে দুই বেলার জায়গায় একবেলা খেয়ে থাকছে।
নতুন অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট সাধারণ মানুষের কষ্ট আরও বাড়াবে দাবি করে তিনি বলেন, এই বাজেট হচ্ছে প্যাট্রন ক্লাইন্ট রিলেশনশিপ অর্থাৎ পৃষ্ঠপোষকতার অর্থনীতি। রেনসিংকি অর্থাৎ ভাড়া দিতে হবে, চাঁদা দিতে হবে, কমিশন দিতে হবে… এর মাধ্যমে অর্থনীতি চলতে হবে। রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠানগুলোকে লুটপাটের জন্য সংঘটিতভাবে তৈরি করে দিয়েছে, এরাও লুটপাটের অংশীদার হয়ে গেছে।
প্রস্তাবিত বাজেট বাস্তবায়নযোগ্য কি না– প্রশ্ন করা হলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, এই বাজেট সরকার দিচ্ছে না আইএমএফ দিচ্ছে সেটাও তো দেখার বিষয়। আইএমএফ যে গাইড লাইনগুলো দিচ্ছে তারা তো সুনিশ্চিতভাবে বলেছে, কি কি করতে হবে এবং বাংলাদেশের অর্থনীতি কি কারণে আজ নিম্ন পর্যায় এসে নেমেছে।
আমির খসরু বলেন, এসব কারেক্ট করার জন্য আইএমএফের যে শর্ত, এই শর্ত মেনে চলছে। মূলত আইএমএফের শর্ত অনুযায়ী তাদেরকে বাজেট দিতে হবে। আবার তার বাইরে যদি তারা অব্যাহতভাবে লুটপাটের অর্থনীতি, পৃষ্ঠপোষকতার অর্থনীতি যদি চলতে থাকে, সেটা অন্যকথা। সরকার তো বিপদে আছে… আইএমএফের শর্ত না মানলে এদিকে বাজেট সাপোর্ট থাকে না, আইএমএফের শর্ত মানলে তাদের লুটপাটের পৃষ্ঠপোষকতার রাজনীতি বাধাগ্রস্ত হয়। এ অবস্থায় সরকার অর্থনীতিকে যে জায়গায় নিয়ে গেছে, সেখান থেকে বের হতে হলে এটার রাজনৈতিক সমাধান হতে হবে। রাজনৈতিক সমাধান হচ্ছে বাংলাদেশের মানুষের ভোটে নির্বাচিত একটি সংসদ, যারা জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকবে ও জবাবদিহি থাকবে।
এআর-১০/০১/০৬ (ন্যাশনাল ডেস্ক)