আওয়ামী লীগ হিরো আলমকেও সহ্য করতে পারছে না: মির্জা ফখরুল

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছে, আমাদের দল শুধু নয়, ৩৬টি দল মিলে একসঙ্গে বলেছি যে আমরা এই সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাবো না। পরিষ্কার কথা নির্বাচনকালীন সময়ে যদি একটা নিরপেক্ষ সরকার না থাকে তাহলে এই দেশে কোনো নির্বাচন হবে না। আমরা শেখ হাসিনার অধীনে আর কোনো নির্বাচনে যাবো না। ন্যাড়া বারবার বেল তলায় যায় না। শিয়ালের কাছে কেউ মুরগি বর্গা দেয় না।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া হয়ে গেছে। তারা হিরো আলমকে পর্যন্ত সহ্য করতে পারছে না। আজ হিরো আলম ভোটকেন্দ্রে গেলে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা তাকে বের করে দেয় এবং মাটিতে ফেলে মারধর করেছে। বাংলাদেশে করুণ তামাশার চিত্র তৈরি করেছে।

সোমবার (১৭ জুলাই) বিকেলে খুলনা নগরীর সোনালী ব্যাংক চত্বরে বিএনপির ‘খুলনা বিভাগীয় তারুণ্যের সমাবেশে’ প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল।

সরকারের পদত্যাগের দাবিতে যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল এই সমাবেশের আয়োজন করে। সমাবেশে খুলনা বিভাগের ১০ জেলার হাজার হাজার নেতা-কর্মী অংশ নেয়। বেলা ২টা থেকে মূল সমাবেশ শুরু হলেও সকাল থেকেই নেতা-কর্মীরা জাতীয় পতাকা, ব্যানার, ফেস্টুন, প্লাকার্ড নিয়ে এবং গেঞ্জি-ক্যাপ পরে জড়ো হন সমাবেশস্থলে।

সমাবেশে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা বলেছি শেখ হাসিনার অধীনে কোনো নির্বাচন হবে না। এই মুহূর্তে পদত্যাগ করতে হবে। তারা বাংলাদেশের মানুষকে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ছারখার করে দিয়েছে। বাংলাদেশের মানুষকে শেষ করে দিয়েছে। দয়া করে সময় নষ্ট না করে পদত্যাগ করতে হবে। নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা দিতে হবে। নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে। এই নির্বাচন কমিশন দিয়ে নির্বাচন হবে না। যারা হিরো আলমকে কোনো রকম প্রটেকশন দিতে পারে না। এদেরকে দিয়ে কোনো নির্বাচন হবে না। তাই আমরা বলেছি নির্বাচন কমিশন বদলাতে হবে। যারা যোগ্য তাদেরকে আনতে হবে। নতুন একটা নির্বাচনের মধ্য দিয়ে নতুন পার্লামেন্ট তৈরি করতে হবে। সমস্ত দলগুলোর সঙ্গে আলাপ করে একটা জাতীয় ঐক্যের সরকার গঠন করে সেটাকে বাস্তবায়ন করতে হবে। সুতরাং দফা এক-দাবি এক শেখ হাসিনার পদত্যাগ।

মির্জা ফখরুল বলেন, দেশে ডেঙ্গুতে ৭৬ জন মারা গেছে। অথচ মানুষকে বিপদে রেখে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও ঢাকার মেয়র তাপস বিদেশ সফর করছেন। তাদের দেশের মানুষের প্রতি কোনো দায়বদ্ধতা নেই।
তরুণদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, বিএনপির গন্ধ থাকলে তাদের চাকরি হয় না। অথচ আওয়ামী লীগ করলে চাকরি হয়। অধিকার আদায়ের জন্য সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। আমরা রাজপথে ফয়সালা করে নতুন রাষ্ট্র গঠন করবো।

শুধু ভোটের অধিকার নয়, দেশ ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্যই বিএনপির এই যুদ্ধ বলে মন্তব্য করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, এই যুদ্ধেরই একটা অংশ তারুণ্যের সমাবেশ। আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা থেকে না সরালে শুধু ভোট নয়, আমাদের বাংলাদেশের অস্তিত্বই থাকবে না।

‘তরুণ প্রজন্ম দেবো ভোট, ভোটের জন্য যুদ্ধ হোক’ এই স্লোগান নিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগ দাবিতে চলমান আন্দোলনে তরুণ প্রজন্মকে সম্পৃক্ত করতে এই সমাবেশ করে ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল।

এআর-০১/১৭/০৭ (ন্যাশনাল ডেস্ক)