পুলিশ ও আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের ওপর বিএনপির হামলা পরিকল্পিত: তথ্যমন্ত্রী

বিএনপি তাদের কর্মসূচি থেকে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের ওপর পরিকল্পিতভাবে হামলা করছে বলে দাবি করেছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, বিএনপি নয়টি জায়গায় পুলিশের সঙ্গে এবং অনেক জায়গায় আওয়ামী লীগের কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়েছে।

বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তথ্যমন্ত্রী এমনটা দাবি করেন।

মঙ্গলবার বিএনপি সারা দেশের বিভিন্ন জায়গায় পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করেছে। এর বিপরীতে শান্তি ও উন্নয়ন শোভাযাত্রা কর্মসূচি পালন করেছে আওয়ামী লীগ।

তথ্যমন্ত্রী গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের ছবি তুলে ধরে বলেন, ‘বিএনপি নেতা–কর্মীরা মঙ্গলবার ঢাকায় মিরপুরে বাঙলা কলেজ ছাত্রলীগের সহসভাপতি রুবেল হোসেনের বাইক জ্বালিয়ে দিয়েছে। একই সঙ্গে জাতীয় পতাকা পুড়িয়েছে। খাগড়াছড়িতে তাঁরা আওয়ামী লীগের উপদপ্তর সম্পাদক নূরুল আজমসহ বেশ কয়েকজনের ওপর হামলা চালিয়ে আহত করেছে। পৌর ভবনেও হামলা চালিয়েছে। বগুড়ায় বিনা অনুমতিতে জোর করে সাতমাথা মোড়ে যাওয়ার পথে বাধা দিতে গেলে বিএনপি নেতা-কর্মীরা পুলিশের ওপর ইট পাটকেল ছোড়ে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশ টিয়ার গ্যাস ছুড়তে বাধ্য হয়।’

হাছান মাহমুদ আরও বলেন, লক্ষ্মীপুরে বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানির নেতৃত্বে মিছিলটি সামাদ একাডেমির সামনে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের ব্যানার ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলে। বিএনপির ৩০-৪০ জন নেতা-কর্মী একপর্যায়ে আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশে আসা ১৫-২০ জন নেতা-কর্মীকে ধাওয়া করেন। এতেই পরবর্তী সংঘর্ষ বাধে।

বিএনপি যে সাংঘর্ষিক রাজনীতি করে এবং জ্বালাও-পোড়াও ধ্বংসাত্মক কর্মসূচি থেকে সরে আসেনি, সেটি গতকাল প্রমাণ করেছে বলে মন্তব্য করেন মন্ত্রী।

ঢাকা-১৭ আসনের প্রার্থী হিরো আলমের ওপরে হামলার বিষয়ে আন্তর্জাতিক সংস্থার বিবৃতি উল্লেখ করে যে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে, সে প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি খুব আশ্চর্য হয়েছি যে জাতিসংঘের এখানকার আবাসিক প্রতিনিধির টুইটকে জাতিসংঘের বিবৃতি হিসেবে প্রচার করা হয়েছে। অ্যামনেস্টি ইন্টারনেশনালের টুইটকেও সংস্থাটির বিবৃতি হিসেবে প্রচার করা হয়েছে। এভাবে যেটি যা নয়, সেটিকে তা হিসেবে প্রচার করা বা সংবাদ তৈরি করা “ম্যাল-ইনফরমেশন” বা অপসাংবাদিকতার পর্যায়ে পড়ে।’

‘একটা টুইট যেটা জাতিসংঘের নয়, ইউএন হেডকোয়ার্টারের কারও টুইটও নয়, এখানকার আবাসিক প্রতিনিধির একটা টুইটকে জাতিসংঘের বিবৃতি বা জাতিসংঘের বক্তব্য হিসেবে প্রচার করা কখনো সমীচীন নয়’ উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘জাতিসংঘের একজন আবাসিক প্রতিনিধি একটা টুইট করল, “দিজ ইজ রিয়্যাকশন অভ হার, দিজ ইজ নট দ্য রিয়্যাকশন অব ইউএন।” আমাদের গণমাধ্যমগুলো এটাকে জাতিসংঘের প্রতিক্রিয়া হিসেবে প্রচার করা সঠিক নয়।’

হিরো আলমের ওপর হামলাকে ষড়যন্ত্রমূলক উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘একটি সুন্দর, সুষ্ঠু নির্বাচন হচ্ছিল, শেষ পর্যায়ে একজন প্রার্থীর ওপর হামলা পরিচালনার উদ্দেশ্য হচ্ছে নির্বাচনকে বিতর্কিত করা। আমরা গতকালই এর নিন্দা জানিয়েছি। যারা করেছে, তারা সরকারি দলের ওপর কালিমা লেপন, নির্বাচন কমিশন বা নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার উদ্দেশ্যেই এটি করেছে। সরকার দ্রুত ব্যবস্থা নিয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন এ নিয়ে গ্রেপ্তার হয়েছে, তদন্ত হচ্ছে।’

এআর-০৩/১৯/০৭ (ন্যাশনাল ডেস্ক)