মধ্য আমেরিকার ৪টি দেশে গণতন্ত্রকে বাধাগ্রস্ত করায় আরও ৩৯ জনের ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর। গতকাল বুধবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন দেশটির কংগ্রেসের কাছে পাঠানো এক প্রতিবেদনে এই নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি অবহিত করেন।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নতুন করে নিষেধাজ্ঞা পাওয়া ব্যক্তিরা মধ্য আমেরিকার দেশ গুয়াতেমালা, নিকারাগুয়া, হন্ডুরাস এবং এল সালভাদরের। ৩৯ জনের মধ্যে ১০ জন গুয়াতেমালার, ১০ জন হন্ডুরাসের, ১৩ জন নিকারাগুয়ার এবং ৬ জন এল সালভেদরের।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী দেশটির ‘ইউনাইটেড স্টেটস-নর্দার্ন ট্রায়াঙ্গেল এনহ্যান্সড এনগেজমেন্ট অ্যাক্টের’ ধারা-৩৫৩ অনুসারে এই চারটি দেশের দুর্নীতিগ্রস্ত এবং অগণতান্ত্রিক ৩৯ নেতাদের ভিসা নিষেধাজ্ঞার আওতায় ফেলেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘এই তালিকাটি এমন ব্যক্তিদের ওপর আরোপ করা হয়েছে, যারা জেনেশুনে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া এবং প্রতিষ্ঠানকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। এই ব্যক্তিরা গুয়াতেমালা, হন্ডুরাস, নিকারাগুয়া এবং এল সালভাদরে দুর্নীতির তদন্তে বাধা সৃষ্টি করেছে। ইউনাইটেড স্টেটস-নর্দার্ন ট্রায়াঙ্গেল এনহ্যান্সড এনগেজমেন্ট অ্যাক্টের আওতায় এর সংশোধিত তালিকায় থাকা ব্যক্তিরা সাধারণত ভিসা নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়বেন এবং যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের জন্য অযোগ্য বলে বিবেচিত হবেন।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র মধ্য আমেরিকানদের একটি গণতান্ত্রিক, সমৃদ্ধ এবং নিরাপদ ও সুরক্ষিত অঞ্চল গড়ার প্রচেষ্টায় সহায়তা করতে চায়। যেখানে মানুষ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করবে, এর থেকে উপকৃত হবে, সরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতি আস্থা রাখবে এবং অর্থনৈতিক ও সামাজিক সুবিধাগুলো উপভোগ করবে। যেসব দুর্নীতিবাজ নেতা গণতান্ত্রিক শাসনকে দুর্বল করে তাদের জবাবদিহির আওতায় আনার জন্য সব ধরনের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর বিবৃতিতে বলেছে, ‘আমরা এসব দেশের সর্বস্তরের নেতা, সুশীল সমাজ, সাংবাদিক, বেসরকারি খাত এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতে এবং দুর্নীতির অবসান ঘটাতে এই প্রচেষ্টায় যোগ দেওয়ার আহ্বান জানাই।’
এআর-০৩/২০/০৭ (আন্তর্জাতিক ডেস্ক)