এক দিনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এবং বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার সারাহ কুক। যুক্তরাজ্যের ঢাকা দূতাবাস বৃহস্পতিবার এক টুইটে এ তথ্য জানিয়েছে।
টুইটে বলা হয়েছে, ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক আওয়ামী লীগ ও বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এসব বৈঠকে তাঁরা যুক্তরাজ্য-বাংলাদেশের সম্পর্ক এবং বাংলাদেশের আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে আলোচনা করেছেন। যুক্তরাজ্য বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনকে উৎসাহিত করে।
বৈঠক প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের বলেছেন, সাক্ষাৎকালে দেশের আগামী জাতীয় নির্বাচন কীভাবে হবে, নির্বাচনকালীন সরকারের দায়িত্ব, বিরোধী দলের সঙ্গে সম্পর্ক কেমন হবে, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ব্রিটিশ হাইকমিশনার নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করার পাশাপাশি অংশগ্রহণমূলক করার কথা বলেছেন।
এদিকে বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টার দিকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে সোয়া এক ঘণ্টা বৈঠক করেন ব্রিটিশ হাইকমিশনার।
ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে ছিলেন হাইকমিশনের পলিটিক্যাল কাউন্সিলর টিমোথি ডকেট। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের সঙ্গে দলের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সাংগঠনিক সম্পাদক শ্যামা ওবায়েদ উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশে অংশগ্রহণমূলক ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চায় যুক্তরাজ্য। গেল এক সপ্তাহে বাংলাদেশের হামলা-মামলা, মৃত্যু ও সরকারি কর্মকর্তাদের রদবদল নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। এ বিষয়ে তারা (যুক্তরাজ্য) দৃষ্টি রাখছে।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচন ছয় মাস পরে। কিন্তু ভোট চুরির প্রকল্প অ্যাকটিভলি (সক্রিয়ভাবে) চলছে। এজন্য বাংলাদেশে নিরপেক্ষ সরকার ব্যতিত একটা সুষ্ঠু নির্বাচন করা সম্ভব নয়। এই ভোট চুরির প্রকল্প ভাঙার একমাত্র পথ নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন। এই আলোচনা এখন সব জয়গায় চলছে। আলোচনায় এগুলো উঠে এসেছে।’
এআর-০৪/২০/০৭ (ন্যাশনাল ডেস্ক)