ইমার্জিং এশিয়া কাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে বাংলাদেশ এ দলকে ৫১ রানে পরাজিত করে ফাইনালে উঠেছে ভারত এ দল।
শুক্রবার কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে ২১২ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ৩৪ ওভার ১ বলে ১৬০ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। এ জয়ে ভারত ফাইনালে মুখোমুখি হবে পাকিস্তানের।
এরআগে টস জিতে ভারতকে ব্যাটিংয়ে পাঠান বাংলাদেশের অধিনায়ক সাইফ হাসান। পাঁচ বল বাকি থাকতে ২১১ রানে অলআউট হয় ভারত।
২৯ রানে ভারতের উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন তানজিম হাসান সাকিব। আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান সাই সুদর্শনকে (২১) উইকেটরক্ষক আকবর আলির ক্যাচ বানান এই পেসার।
দ্বিতীয় উইকেটে ৪৬ রানের জুটি গড়েন অভিষেক শর্মা আর নিকিন জোসে। দলীয় ৭৫ রানের মাথায় নিকিন জোসেকে (১৭) সাজঘরে ফিরিয়ে এই জুটিটি ভাঙেন অধিনায়ক সাইফ। টাইগার অফস্পিনারের বলে জাকির হাসানকে ক্যাচ দেন জোসে।
এরপরই ভারতকে ভালোভাবে চেপে ধরেন বাংলাদেশি বোলারররা। পরের ওভারে অভিষেক শর্মাকে (৩৪) সাকিবের তালুবন্দি করেন রাকিবুল হাসান। এরপর নিশাত সান্ধুকেও (৫) থিতু হতে দেননি বাঁহাতি এই স্পিনার।
১২ রান করা রিয়ান পরাগকে দারুণ এক ডেলিভারিতে বোল্ড করেন সাকিব, ৩২তম ওভারে। তার পরের ওভারে উইকেটরক্ষক ধ্রুব জুরেলকে (১) এলবিডব্লিউ করে ভারতকে আরও বড় বিপদে ফেলেন শেখ মাহাদি হাসান। এরপর হার্শিত রানাকেও (৯) ফেরান মাহেদি। ১৩৭ রানে ৭ উইকেট হারায় ভারত।
কিন্তু এমন কোণঠাসা অবস্থা থেকে ভারতীয়রা ঘুরে দাঁড়ায় অধিনায়ক ইয়াশ ধুলের ব্যাটে। লোয়ার অর্ডারদের নিয়ে দুর্দান্ত লড়াই করেন ধুল। শেষ ব্যাটার হিসেবে আউট হন ৮৫ বলে ৬ বাউন্ডারিতে ৬৬ রানের ইনিংস খেলে।
বাংলাদেশের শেখ মাহেদি, তানজিম সাকিব আর রাকিবুল হাসান নেন দুটি করে উইকেট।
এদিকে বাংলাদেশ ২১২ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে ৭০ রান করেন দুই ওপেনার নাইম শেখ আর তানজিদ হাসান তামিম। এমন ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে সহজেই জয় পাওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশের। নাইম ৪০ বলে ৩৮ করে ফেরার পর তামিম হাফসেঞ্চুরি করেন ঠিকই, কিন্তু সেটাকে আর বড় করার চেষ্টা করেননি। ৫৬ বলে ৮ বাউন্ডারিতে ৫১ করে সাজঘরের পথ ধরেন এই ওপেনার।
এরপর জাকির হাসান আউট হন ৫ করে। অধিনায়ক সাইফ হাসানকে বেশ আত্মবিশ্বাসী দেখাচ্ছিল। কিন্তু অতি আত্মবিশ্বাসে ভুল শট খেলে বসেন সাইফ। ২৪ বলে ২২ করে তিনি ফিরলে বিপদ শুরু হয় বাংলাদেশের। এরপর সৌম্য সরকার ৫ রানে আউট হন। আকবর আলি করেন ২। ১৩৪ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে বসে জুনিয়র টাইগাররা।
শেখ মাহাদি আর মাহমুদুল হাসান জয় সপ্তম উইকেটে ২০ রানের একটি জুটি গড়েছিলেন। কিন্তু এই জুটিটা বড় হয়নি মাহাদির ভুলে। খামোখা তেড়ে মারতে গিয়ে ক্যাচ দিয়ে আসেন তিনি (১১ বলে ১২)। প্রথম বলেই রিভার্স সুইপ খেলে উইকেট দিয়ে আসেন রাকিবুল হাসানও (০)।
শেষ ভরসা ছিলেন জয়। কিন্তু জয়ের আশা জাগাতে পারেননি তিনিও। ৪৬ বল খেলে ২০ রান করে তিনিও আর সবার মতো দায়িত্বজ্ঞানহীন শট খেলে সাজঘরে ফেরেন।
বাংলাদেশকে বলতে গেলে একাই ধসিয়ে দিয়েছেন ভারতের বাঁহাতি স্পিনার নিশান্ত সিন্ধু। ২০ রানে ৫টি উইকেট নেন তিনি। আরেক স্পিনার মানব সুথার ৩২ রানে নেন ৩টি উইকেট।
এআর-০২/২১/০৭ (স্পোর্টস ডেস্ক)