অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের মাধ্যমে শিগগির মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, লেনদেন ভারসাম্য পরিস্থিতির উন্নয়ন ও বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার স্থিতিশীল হবে।
সোমবার জাতীয় সংসদে সংসদ সদস্য মমতাজ বেগমের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী এ কথা বলেন। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠকের শুরুতে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপন করা হয়।
অর্থমন্ত্রী বলেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, লেনদেন ভারসাম্য পরিস্থিতির উন্নয়ন ও বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার স্থিতিশীল রাখতে সরকার বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে এবং তা বাস্তবায়ন করছে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি ঘোষণা করেছে, মুদ্রা সরবরাহ নিয়ন্ত্রণের জন্য পলিসি রেট (নীতি সুদহার) ৬ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৬ দশমিক ৫ শতাংশ করা হয়েছে। মার্কিন ডলারসহ অন্যান্য বৈদেশিক মুদ্রার সঙ্গে টাকার বিনিময় হার বাজারভিত্তিক করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
অর্থমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে রাজস্ব নীতির আওতায় নেওয়া কিছু পদক্ষেপের পাশাপাশি লেনদেন ভারসাম্য পরিস্থিতির উন্নয়ন ও বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার স্থিতিশীল রাখার উদ্দেশে নেওয়া কিছু পদক্ষেপের কথাও তুলে ধরেন।
সংসদ সদস্য মোজাফফর হোসেনের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, রুগ্ণ শিল্পের সমস্যা সমাধানের জন্য ২০০৯ সালে একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন টাস্কফোর্স গঠন করা হয়। তাদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২০১০ ও ২০১২ সালে ২৭৯টি রুগ্ণ গার্মেন্টস এবং ২০১১ ও ২০১৫ সালে ১০০টি রুগ্ণ টেক্সটাইলশিল্পের ঋণ বিলুপ্তের সার্কুলার জারি করা হয়েছে।
সংসদ সদস্য কাজিম উদ্দিন আহম্মেদের প্রশ্নের উত্তরে অর্থমন্ত্রী বলেন, চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে কৃষি ও পল্লী ঋণ নীতিমালা ও কর্মসূচিতে কৃষি ও পল্লী ঋণ খাতে ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ঋণ আকারে বিতরণের জন্য ৩৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ নির্ধারণ করা হয়েছে।
এআর-০৫/১১/০৯ (জাতীয় ডেস্ক)