বাবা-মা-বোন হারিয়ে অলৌকিকভাবে বেঁচে গেল সেই শিশু

গতকাল (বৃহস্পতিবার) রাতের টানা বর্ষণে এক মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী হলো রাজধানীবাসী। তীব্র বৃষ্টির কারণে জমে থাকা পানিতে বিদ্যুৎস্পর্শে একই পরিবারের তিনজনসহ ৪ জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। তবে এ ঘটনায় অলৌকিকভাবে বেঁচে গেছে ৭ মাসের শিশু হোসাইন।

বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে মিরপুরে ঢাকা কমার্স কলেজ সংলগ্ন হাজী রোড ঝিলপাড় বস্তিতে এ ঘটনা ঘটে। এতে বিদ্যুতায়িত হয়ে আহত হয়েছেন আরও পাঁচজন।

নিহতরা হলেন- সিএনজি অটোরিকশাচালক মো. মিজান (৩০), তার স্ত্রী মুক্তা বেগম (২৫), মেয়ে লিমা (৭) এবং তাদের উদ্ধার করতে যাওয়া মোহাম্মদ অনিক (২০)।

গতকাল সারা দিনই ছিল থেমে থেমে বৃষ্টি। সন্ধ্যার পর তা বাড়তে থাকে। এই বৃষ্টির মধ্যে স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে বাসায় ফিরছিলেন মিজান। বৃষ্টিতে সড়কে পানি জমে যায়। সেই পানি ঠেলেই পরিবারকে নিয়ে চিড়িয়াখানা এলাকায় নিজেদের ভাড়া বাসার উদ্দেশে রওনা হন মিজান। রাত সাড়ে ৯টার দিকে মিরপুরে কমার্স কলেজসংলগ্ন ঝিলপাড় বস্তির বিপরীত পাশে রাস্তায় মিজান, তার স্ত্রী মুক্তা ও মেয়ে লিমা বিদ্যুতায়িত হয়ে মারা যান। আহত হলেও বেঁচে আছে মিজান-মুক্তা দম্পতির শিশুপুত্র হোসাইন। মিজানের পরিবারের সদস্যদের উদ্ধার করতে গিয়ে বিদ্যুতায়িত হয়ে প্রাণ হারান একই এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ অনিক নামের ওই তরুণ।

পরে ওই ঘটনায় আহত শিশু হোসাইনকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান হিজড়া আমিনা ও বৃষ্টি।

স্থানীয়রা জানান, ঘটনার পর শিশুটিকে প্রথমে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে তার চিকিৎসা শেষে বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়। শিশুটি এখন ভালো আছে।

এদিকে এ দুর্ঘটনার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওতে দেখা যায়, নয় মাসের শিশু হোসেনকে পানি থেকে পা ধরে টেনে তুলছেন একজন। পরে পাশে থাকা মহিলাদের কোলে তুলে দেন তিনি।

এআর-০১/২২/০৯ (জাতীয় ডেস্ক)