দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিটি নির্বাচনী এলাকায় ভোটারপ্রতি ১০ টাকা ব্যয় করতে পারবেন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা। নির্বাচনী ব্যয় নির্ধারণ করে দিয়ে জারি করা প্রজ্ঞাপনে এই ব্যয়সীমা ঠিক করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, যেহেতু গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ এর অনুচ্ছেদ ৪৪ (খ) এর দফা ৩ অনুযায়ী, মনোনয়ন দেওয়া রাজনৈতিক দল থেকে নেওয়া খরচসহ একজন প্রার্থীর নির্বাচনী খরচ ২৫ লাখ টাকার বেশি হবে না।
নির্বাচন কমিশন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিটি নির্বাচনী এলাকায় ভোটারপ্রতি নির্বাচনী ব্যয় ১০ টাকা নির্ধারণ করেছে। তবে ভোটার সংখ্যা যাই হোক না কেন, নির্বাচনী এলাকার প্রার্থীর ব্যয় সর্বোচ্চ ২৫ লাখ টাকার বেশি হবে না।
এদিকে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) অনুযায়ী, যে দল থেকে সর্বোচ্চ ৫০ জন প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নেবেন, সে দল সর্বোচ্চ ৭৫ লাখ টাকা ব্যয় করতে পারবে। ১০০ প্রার্থীর জন্য সর্বোচ্চ দেড় কোটি টাকা করা যায়। ২০০ প্রার্থীর জন্য তিন কোটি টাকা এবং দুই শতাধিক প্রার্থী দিলে সংশ্লিষ্ট দল সর্বোচ্চ সাড়ে চার কোটি টাকা ব্যয় করতে পারে।
দলগুলো চাঁদা ও অনুদান অন্যান্য থেকে আয় করতে পারে। তবে নির্বাচনে ব্যয় করতে হয় নির্ধারিত খাতে। এক্ষেত্রে পার্টি প্রধানের ভ্রমণ, পোস্টার, প্রচারকাজের জন্য ব্যয় করতে হয়।
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ৪৪ সিসিসি-বিধি অনুযায়ী, ভোটের ফল গেজেটে আকারে প্রকাশের পর ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচনী ব্যয়ের হিসাব জমা দেওয়ার বিধান রয়েছে। তা অমান্য করলে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করতে পারে ইসি।
এআর-০৫/১৬/১১ (জাতীয় ডেস্ক)