প্রধান বিচারপতির বাসভবন হচ্ছে সংরক্ষিত পুরাকীর্তি

ঐতিহাসিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ রাজধানীর ১৯ হেয়ার রোডে অবস্থিত শতবর্ষী প্রধান বিচারপতির বাসভবনকে পুরাকীর্তি হিসেবে সংরক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ জন্য ভবনটিকে ‘সংরক্ষিত পুরাকীর্তি’ ঘোষণার কার্যক্রম শুরু করেছে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর।

বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, সংরক্ষিত পুরাকীর্তি ঘোষণার কার্যক্রম গ্রহণের অংশ হিসেবে গত বুধবার প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগের আঞ্চলিক পরিচালককে প্রধান বিচারপতির বাসভবন সরেজমিনে পরিদর্শন করে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দিয়েছে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যূত্থানে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে অনাকাঙ্ক্ষিত ক্ষয়ক্ষতির পরিপ্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ঐতিহসিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ এই স্থাপনাটি স্থায়ীভাবে সংরক্ষণের উদ্যোগ নিয়েছেন। গত ২৫ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন ও প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের নিয়ে সভা করেন প্রধান বিচারপতি। ওই সভায় ভবনটি সংরক্ষিত পুরাকীর্তি ঘোষণা করে তা সংরক্ষণের সিদ্ধান্ত হয়।

ভবনটির ইতিহাস ও স্থাপত্যশৈলী তুলে ধরে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে ঢাকাকে পূর্ববঙ্গ ও আসামের রাজধানী করার পর উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য যেসব আবাসিক ভবন নির্মাণ করা হয়েছিল, তার মধ্যে একটি হেয়ার রোডের প্রধান বিচারপতির বাসভবন। মোঘল ও ইউরোপীয় স্থাপত্যশৈলীর মিশ্রণে ১৯০৮ সালে ভবনটি নির্মাণ করা হয়। ১৯১১ সালে বঙ্গভঙ্গ রদের পর ভবনটি বিভিন্ন সময় বিভিন্ন উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হলেও পঞ্চাশের দশক থেকে ভবনটি প্রধান বিচারপতির বাসভবন হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ১৯৬৮ সালের পুরাকীর্তি আইন অনুসারে ভবনটির মালিকানা ও ব্যবহারস্বত্ব সুপ্রিম কোর্টের অনুকূলে রেখে সংরক্ষণ করা হলে তা জাতীয় সম্পদ হিসেবে বিবেচিত হবে। ১১৬ বছরের পুরনো স্থাপনাটি সংরক্ষিত পুরাকীর্তি ঘোষণা করা হলে ঐতিহাসিক গুরুত্ব বিবেচনায় এর ঐতিহ্য সংরক্ষণ এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে স্থাপনাটির গুরুত্ব ও ঐতিহ্য তুলে ধরতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।

এআর-০২/১০/১০ (জাতীয় ডেস্ক)