রাজশাহীতে তিন দিনব্যাপী বনসাই প্রদর্শনী শুরু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) বিকেলে নগর ভবনের গ্রিন প্লাজায় ২২তম বনসাই প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর বলেন, যেকোনো মেলা বা প্রদর্শনীর মূল কাজটা হলো ব্র্যান্ডিং। প্রদর্শনীতে আগত দর্শনার্থীরা বিভিন্ন ধরন ও বয়সের বনসাই এখানে দেখতে পারবেন। বনসাই গাছের আর্থিক মূল্য কিন্তু অনেক বেশি। বাণিজ্যিক ভিত্তিতে বনসাই প্রস্তুত করে বিদেশে রপ্তানি করে আমরা লাভবান হতে পারি। নগরসভ্যতা যতদিন বেঁচে থাকবে প্রকৃতির সান্নিধ্য হিসেবে জীবন্ত ভাস্কর্যরুপে বনসাই এর চাহিদা ততদিন থাকবে।
তিনি বলেন, রাজশাহী বনসাই সোসাইটি ১৯৯৯ সাল থেকে কাজ করছে। প্রতি বছরই তারা এ বনসাই প্রদর্শনী করে। নগর সভ্যতার উৎপত্তির পর থেকে শহরে উন্মুক্ত স্থান ক্রমেই কমে যাচ্ছে। আগে যে বৃহৎ বাড়ি থাকতো তার পরিবর্তে এখন মানুষ ফ্ল্যাটে থাকছে। নানাবিধ কারণে প্রকৃতির সাথে মানুষের মিথস্ক্রিয়া কমে যাচ্ছে। অথচ নান্দনিক বনসাই গাছ অল্প জায়গাতেই স্থাপন ও পরিচর্যা করা যায় ফলে মানুষ বনসাইয়ে আগ্রহ দেখিয়ে আসছে।
বনসাই এর উৎপত্তির ইতিহাস তুলে ধরে বিভাগীয় কমিশনার বলেন, প্রায় দুই হাজার বছর আগে চীনে এর প্রচলন শুরু হয়। পরবর্তীতে চীন থেকে জাপান, কোরিয়া ও ভিয়েতনামসহ বিভিন্ন দেশে এর চর্চা ছড়িয়ে পড়ে। আর এখন বাংলাদেশেও উন্নতমানের বনসাই হচ্ছে।
রাজশাহী বনসাই সোসাইটির সভাপতি সৈয়দ মাহফুজ-ই-তৌহিদ টুটুর সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মুহাম্মদ যহুর আলী। এছাড়া রাজশাহী বনসাই সোসাইটির সহ-সভাপতি রেহানা চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক সারোয়ার মুর্শেদসহ আরও অনেকেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, বনসাই প্রদর্শনীটি চলবে আগামী শনিবার (৯ নভেম্বর) পর্যন্ত। মেলা প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে বলে জানানো হয়েছে।
এআর-০৪/০৭/১১ (নিজস্ব প্রতিবেদক)