৬১ উপজেলার দরিদ্র মানুষকে খাদ্য ও জীবিকা সহায়তা দেবে সরকার

সারাদেশে ৬১টি উপজেলার দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে দারিদ্র্যসীমার নিচ থেকে বের করে আনতে আর্থিক সহায়তার পরিকল্পনা করেছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়। এ কর্মসূচির আওতায় প্রতিটি পরিবার খাদ্য সহায়তা হিসেবে এক হাজার টাকা এবং জীবিকা সহায়তা হিসেবে দুই হাজার টাকা পাবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম।

তিনি বলেন, ‘৬১টি উপজেলায় ৫০ শতাংশ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করছে। আমরা দারিদ্র্যসীমার নিচের মানুষদের বের করে আনতে খাদ্য ও জীবিকা সহায়তা প্রদানের কর্মসূচি নিচ্ছি।’

এসব উপজেলায় পাইলট ভিত্তিতে এ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হবে বলেও জানান তিনি।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম ১০০ দিনের মধ্যে মন্ত্রণালয় দারিদ্র্যকে দুর্যোগ হিসেবে বিবেচনা করে তৃণমূলে দারিদ্র্য হ্রাসকে অগ্রাধিকার দিয়েছে।

৬১টি উপজেলার মধ্যে রংপুর বিভাগে ২৪টি, তিন পার্বত্য জেলায় ১৪টি, কিশোরগঞ্জ জেলার ১০টি উপজেলা, খুলনা বিভাগে পাঁচটি, ময়মনসিংহ বিভাগে সাতটি এবং বরিশাল বিভাগে একটি উপজেলা রয়েছে।

এছাড়া আরো ১৪টি উপজেলায় ৪৭ শতাংশ মানুষ অপুষ্টিতে ভুগছে। যেখানে সিলেটে বিভাগে পাঁচটি, চট্টগ্রাম বিভাগে চারটি, রাজশাহী বিভাগে দুটি, রংপুর, ময়মনসিংহ ও বরিশাল বিভাগে একটি করে উপজেলা রয়েছে।

ফারুক-ই-আজম দারিদ্র্য হ্রাসে সহায়তার জন্য এনজিওসহ দাতা সংস্থাগুলোকে এ কর্মসূচিতে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় সরকারি-বেসরকারি সংস্থা, এনজিও, ক্ষুদ্রঋণ দাতা ও স্বেচ্ছাসেবকদের মধ্যে সমন্বিত সহযোগিতা প্রয়োজন।

গত আগস্ট ও সেপ্টেম্বরে সারাদেশের বিভিন্ন জেলায় বন্যার্তদের জন্য ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মসূচি সম্পর্কে তিনি বলেন, বন্যার সময় প্রয়োজনীয় ত্রাণ সামগ্রী, ওষুধ ও স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করে বন্যার্তদের পাশে দাঁড়াতে সরকার সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালিয়েছে। এখন মন্ত্রণালয় বন্যার্তদের পুনর্বাসন কার্যক্রম চালাচ্ছে।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় ৬ আগস্ট থেকে ২৯ অক্টোবর পর্যন্ত দেশের বন্যাদুর্গতসহ ৪৩টি জেলায় বন্যার্তদের জন্য ৪.৭৫ কোটি টাকা (নগদ) এবং ৩৭ হাজার ৫০০ ব্যাগ শুকনো খাবার বরাদ্দ করেছে।

এছাড়া মন্ত্রণালয় এ সময়ের মধ্যে ত্রাণ প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে আট হাজার ৯০০ মেট্রিক টন চাল, শিশুর খাদ্যের জন্য ২.৯০ কোটি টাকা এবং পশুখাদ্য কেনার জন্য ২.৯০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে।

বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িঘর মেরামতের জন্য এক হাজার ৮০০ বান্ডিল ঢেউটিন (সিআই) শিট এবং ৫৪ লাখ টাকা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বরাদ্দ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

এআর-০৩/১৫/১১ (জাতীয় ডেস্ক)