ক্রম বর্ধমান জনংসখ্যার চাহিদা পূরণে বড় ভূমিকা রাখতে পারে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের উদ্ভাবিত ব্রি- ১০৩ জাতের ধান। মাত্র ১১৫ থেকে ১১৭ দিনের মধ্যে এই ধান ঘরে তোলা যায়। স্বল্পজীবন কালের হওয়ায় আমন মওসুমের এর ধানের রোগবালাইও হয় কম।
রোববার (১৭ নভেম্বর) বিকেলে রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে গোলাই গ্রামে শষ্য কর্তন ও মাঠ দিবসের কর্মসূচিতে এসব কথা বলেন ধান গবেষকেরা। সেখানে ২ একর জমিতে এবারই প্রথম ব্রি-১০৩ জাতের ধান আবাদ করেছেন কৃষক মাহবুবুর রহমান বাবু। তিনি বলেন, সেচ কম লাগায় উত্তরাঞ্চলের খরাপ্রবণ আবহাওয়ার জন্য এই ধান বেশ উপযোগী। অন্যান্য জাতের চেয়ে প্রায় ১৫ দিন আগেই ধান কাটা যায়। পরে একই জমিতে সরিষা, গম বা আলু চাষ করা যাবে।
সাঁওতাল কৃষাণী ষোল তাক্কা বলেন, এই ধানের চিটার পরিমাণ খুবই কম। আর বেশ লম্বা হলেও হেলে পড়ে না। ফলে আবাদ ক্ষতিগ্রস্ত হয় না। আবার ভালো মানের খড়ও পাওয়া যায়।
বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের জ্যেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. তাপস সরকার জানান, এবার রাজশাহী, নওগাঁ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নাটোরে ৫০০টি প্রদর্শনী মাঠে পরীক্ষামূলকভাবে ব্রি-১০৩ জাতের ধান আবাদ করা হয়েছে। অন্যান্য জাতের ধান যেখানে বিঘায় ২১-২২ মণ ফলন দেয়, সেখানে এই ধানের আবাদ প্রতিবিঘায় ২৬ থেকে ২৭ মণ পর্যন্ত হতে পারে।
বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের রাজশাহী আঞ্চলিক কার্যালয়ের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. হারুন-অর-রশিদ জানান, ব্রি-১০৩ জাতের ধানের জীবনকাল কম হওয়ায় এতে রোগবালাই কম হয়। আবার এর চাল ২৮ জাতের মতই চিকন ও লম্বা। ফলে বাজারে ভালো দাম পাওয়া যাবে। একই সাথে এই ধান রপ্তানিযোগ্য হওয়ায় কৃষকদের মধ্যে আগ্রহ বাড়ছে।
এআর-০৩/১৭/১১ (অনলাইন ডেস্ক)