ঢাকার সায়েন্সল্যাব মোড় এলাকায় ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। এ সংঘর্ষে ঢাকা কলেজের দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছে বলে জানিয়ে সায়েন্সল্যাব থেকে সিটি কলেজ সরিয়ে নেওয়ার দাবি জানিয়েছে ঢাকা কলেজের শিক্ষক পরিষদ।
বুধবার (২০ নভেম্বর) সংঘর্ষের পর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় ঢাকা কলেজ অডিটোরিয়ামে সংবাদ সম্মেলনে কলেজ প্রশাসনের পক্ষে এসব দাবি উত্থাপন করেন ঢাকা কলেজের শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক।
শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক আ ক ম রফিকুল ইসলাম বলেন, “সংঘর্ষে দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী ও এক শিক্ষক আহত হয়েছেন। আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে। ঢাকা কলেজের স্থাপনায় সেনাবাহিনী সরাসরি হামলা ও ভাঙচুর করেছে, যা আমাদের জন্য লজ্জাজনক। এ হামলায় জড়িত প্রশাসনে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। বিশেষ করে দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তা, যারা এই হামলার নির্দেশ দিয়েছেন, তাদের পদত্যাগ করতে হবে।”
রফিকুল ইসলাম আরও বলেন, “ইতোপূর্বে সকল বিশৃঙ্খলার সাথে সিটি কলেজের কতিপয় সন্ত্রাসী শিক্ষার্থী দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় এবং পরবর্তী সংঘর্ষ এড়াতে সিটি কলেজকে এখান থেকে স্থানান্তর করতে হবে। সিটি কলেজের যে সকল শিক্ষক এই নিন্দনীয় ঘটনার সাথে সরাসরি জড়িত ও নির্দেশ দাতা, তাদেরকে আইনের আওতায় আনতে হবে।”
এর আগে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে কয়েকদিন বন্ধ থাকার পর বুধবার থেকে সিটি কলেজে ক্লাস শুরু হয়েছে। অন্যদিকে স্বৈরাচারের সহযোগী শিক্ষকদের পদত্যাগ দাবিতে আজ বিক্ষোভ করছেন ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা। এরই মধ্যে দুপুরের দিকে ঢাকা কলেজের কিছু শিক্ষার্থী সায়েন্সল্যাব এলাকায় একটি বাসে ভাঙচুর চালান। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাগবিতণ্ডার একপর্যায়ে সিটি কলেজের শিক্ষার্থীরা ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন।
খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে তারা সংঘর্ষ থামাতে টিয়ার শেল ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়েন।
এআর-০৪/২০/১১ (জাতীয় ডেস্ক)