গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের খুচরা মূল্য ইউনিট প্রতি ১ টাকা ২১ পয়সা বাড়ানোর সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) কারিগরি কমিটি।
রোববার (৮ জানুয়ারি) রাজধানীর বিয়াম মিলনায়তনে সঞ্চালন সংস্থা ও বিতরণ কোম্পানিগুলোর প্রস্তাবের ওপর গণশুনানি শেষে এ তথ্য জানানো হয়।
শুনানিতে দাম বাড়ানোর বিষয়ে বিতরণ কোম্পানিগুলো নিজ নিজ প্রস্তাবের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করেন। বিদ্যুতের বিদ্যমান বাড়তি গড়মূল্য ৭ টাকা ০২ পয়সা। প্রস্তাব বিশ্লেষণ করে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) নতুন বাড়তি গড় মূল্য ৮ টাকা ২৩ পয়সা নির্ধারণের সুপারিশ করেছে।
গণশুনানিতে উপস্থিত ছিলেন বিইআরসির চেয়ারম্যান মো. আব্দুল জলিল ও চারজন সদস্য। দুপুরের পর শুনানিতে জেরা পর্ব শুরু হবে।
গত নভেম্বরে বিদ্যুতের পাইকারি মূল্য বৃদ্ধির ঘোষণার পরপরই খুচরায় দাম বাড়াতে আবেদন জমা দিতে থাকে বিতরণ সংস্থাগুলো। সেই আবেদন কারিগরি কমিটিতে মূল্যায়ন শেষে এখন গণশুনানি হচ্ছে।
বিদ্যুতে ভর্তুকি কমাতে গত ২১ নভেম্বর পাইকারিতে দাম ১৯ দশমিক ৯২ শতাংশ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত দেয় বিইআরসি। এর ফলে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থাগুলোর কাছে বিক্রি করছে ৬ টাকা ২০ পয়সা, যা আগে ৫ টাকা ১৭ পয়সা ছিল।
বিতরণ সংস্থা বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি), বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (বিআরইবি), ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটড (ডেসকো), ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ডিপিডিসি), নর্দার্ন ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড (নেসকো) ও ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ওজোপাডিকো) খুচরা বিদ্যুতের মূল্য সমন্বয় করতে আবেদন করতে থাকে।
এআর-০৬/০৮/০১ (ন্যাশনাল ডেস্ক)