দীর্ঘ প্রস্তুতি ও নানা জটিলতা কাটিয়ে দেশে প্রথমবারের মতো মৃত ব্যক্তির কিডনি অন্য ব্যক্তির দেহে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। কিডনি দানকারী সারা ইসলাম (২০) ঢাকার বাসিন্দা। মৃত্যুর আগে দুটি কিডনির পাশাপাশি চোখের কর্নিয়াও দান করে গেছেন এই তরুণী। অঙ্গ নেওয়া চার ব্যক্তি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে এখনো চিকিৎসাধীন। তাঁরা ভালো আছেন।
বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএসএমএমইউয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ এসব তথ্য জানান।
রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) গতকাল বুধবার রাত সাড়ে ১০টা থেকে ভোর সাড়ে ৪টা পর্যন্ত ছয় ঘণ্টার দীর্ঘ অস্ত্রোপচারে এটি প্রতিস্থাপন করা হয়।
কিডনি প্রতিস্থাপনে অস্ত্রোপচারের নেতৃত্ব দিয়েছেন বিএসএমএমইউয়ের রেনাল ট্রান্সপ্লান্ট বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. হাবিবুর রহমান। সঙ্গে ছিলেন অ্যানেসথেসিয়া বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. দেবাশীষ বণিক ও অধ্যাপক ডা. দেবব্রত বণিক।
বিএসএমএমইউয়ের উপাচার্য বলেন, ‘সারা ইসলামের দেহ থেকে দুটি কিডনির একটি আমাদের এখানে এবং অন্যটি কিডনি ফাউন্ডেশনে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। মিরপুরের বাসিন্দা শামীমা আক্তার (৩৪) ও হাসিনা আক্তার নামের দুজন ব্যক্তির দেহে এগুলো প্রতিস্থাপন করা হয়।’
শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘কিডনি দাতা সারা ইসলাম মাত্র ১০ মাস বয়সে দুরারোগ্য টিউবেরাস স্ক্লেরোসিস রোগে আক্রান্ত হন। তিনি এ রোগ নিয়ে প্রায় ১৯ বছর ধরে লড়াই করেন। তবে এ কাজে সবচেয়ে বড় অবদান সারার পরিবারের, বিশেষ করে মা। তিনি সম্মতি না দিলে এটি সম্ভব হতো না।’
শারফুদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, ‘এটি প্রাথমিকভাবে শুরু হলো, সামনে অত্যাধুনিক করে আরও হবে এটা আশা করছি। পর্যায়ক্রমে ঢাকা মেডিকেল, কিডনি ইনস্টিটিউটসহ অন্যান্য হাসপাতালেও চালু হবে বলে বিশ্বাস করি।’
এআর-০২/১৯/০১ (ন্যাশনাল ডেস্ক)