আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, কোথায় স্যাংশন, কোথায় ভিসা নীতি, তলে তলে আপস হয়ে গেছে। অক্টোবরে নভেম্বরে ডিসেম্বরে কিছুই হবে না।
মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) সাভারের আমিন বাজারে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, দিল্লি আছে, আমেরিকারও দিল্লিকে দরকার। আমরা আছি, দিল্লিও আছে। শত্রুতা কারও সাথে নেই। সবার সাথে বন্ধুত্ব। শেখ হাসিনা এমন ভারসাম্য সবার সাথে করে ফেলেছে। আর কোনো চিন্তা নেই। ইলেকশন হবে যথাসময়ে।
তিনি আরও বলেন, অক্টোবরে সোজা হয়ে দাঁড়ান, কৌশল ভালো করে শিখে নেন। করতে হবে যুদ্ধ। বিএনপির লোকেরা এখন পথ হারিয়ে দিশেহারা। দুই সেলফিতেই বাজিমাত। এক সেলফি দিল্লিতে আরেক সেলফি নিউইয়র্কে। প্রথমে দিুল্লিতে গিয়ে, পরে নিউইয়র্কে বাজিমাত।
সেতুমন্ত্রী বলেন, খেলা হবে ভোট চুরির বিরুদ্ধে, খেলা হবে দুর্নীতির বিরুদ্ধে, খেলা হবে লুটপাটের বিরুদ্ধে, খেলা হবে অর্থপাচারের বিরুদ্ধে, খেলা হবে চোরদের বিরুদ্ধে। সব চোর একত্রিত হয়েছে ক্ষমতার জন্য। ক্ষমতায় বসে দেশ ধ্বংস করবে। ওই দিন শেষ। ডিসেম্বরে বলছিল না খালেদা জিয়া দেশ চালাবে, মনে আছে? নয় মাস চলে গেছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য শেখ হাসিনার কাছে আবেদন করেছে। ৪টা ৫টা বছর আদালতে হাজিরা পর্যন্ত দেয়নি। এতদিন খালেদা জিয়ার মমলার ফয়সালা হয়ে যেত। কিন্তু এ মামলা ফয়সালা হয়নি বিএনপির জন্য। বিএনপির মামলা রয়ে গেছে। আদলতে ঝুলে আছে। খালেদা জিয়াকে দেখিয়ে যদি কিছু করা যায়। অক্টোবরে নাকি পতন, কোন অক্টোবর, এই অক্টোবর নাকি আগামী অক্টোবর নাকি তার পরের বছরের অক্টোবর? অক্টোবরে নভেম্বরে ডিসেম্বরে কিছুই হবে না।
তিনি আরও বলেন, অক্টোবর থেকে শুরু, মার্চ থেকে শুরু, খেলা হবে আগামী মাসে সেমিফাইনাল। জানুয়ারিতে ফাইনাল। বিএনপি এখন ফাউল করছে। ফাউল করলে হলুদ কার্ড। ফাউল হলে লাল কার্ড। খেলা নিয়ে ফাউল করা চলবে না। খালেদা জিয়া ছাড়া বিএনপি ইলেকশন করবে না। এতোদিন কই ছিল, খালেদা জিয়া বছরের পর বছর জেলে। তার জন্য একটা আন্দোলন হোক, করতে পারলো না ফখরুল। আর এখন খালেদা জিয়া ছাড়া নির্বাচন করবে না।
বিএনপি নেতারা এখন পথ হারিয়ে দিশাহারা মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপির দম ফুরিয়ে গেছে। বিএনপির কত হুমকি। এখন অক্টোবর চলে যাচ্ছে। ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম বুড়িগঙ্গায় পড়ে গেছে। নির্বাচন ছাড়া জনগণ এই মুহূর্তে আর কিছুই চায় না। এখন ভোট হলে শতকরা ৭০ ভাগ লোক শেখ হাসিনাকে ভোট দেবেন।
এআর-০৬/০৩/১০ (জাতীয় ডেস্ক)