‘জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র’ ঘিরে ৩১ ডিসেম্বর (মঙ্গলবার) কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অন্তত দেড় থেকে আড়াই লাখ মানুষ জমায়েত করার পরিকল্পনা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের। এতে নিরাপত্তা ঘিরে থাকবে অন্তত ৫০০ পুলিশ সদস্য।
সোমবার বিকেলে ডিএমপি হেডকোয়ার্টারে ডিএমপি কমিশনারসহ ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক শেষে এসব কথা জানান কেন্দ্রীয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসুদ।
আব্দুল হান্নান মাসুদ বলেন, মঙ্গলবার থেকে নতুন স্বপ্ন দেখবে বাংলাদেশ। আগামী বাংলাদেশে যে সরকারই আসবে এই ঘোষণাপত্র সীমারেখা হয়ে কাজ করবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
এসময় তিনি বলেন, এর মধ্য দিয়ে অবসান হবে বস্তা পঁচা রাজনীতির। জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণে সকল রাজনৈতিক দল নতুন এই ঘোষণাপত্রকে স্বাগত জানাবে বলে আশাবাদ তাদের।
আব্দুল হান্নান মাসুদ আরও জানান, নতুন বছর উদযাপন আর এই ঘোষণাপত্রের অনুষ্ঠান ঘিরে যে কোন বিশৃঙ্খলা এড়াতে প্রশাসনের পাশাপাশি সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান তাদের।
গতকাল রাজধানীর বাংলামোটরের সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলননের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ জানান, আগামী ৩১ ডিসেম্বর ‘জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র’ দেবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি। ওই দিন ৭২-এর ‘মুজিববাদী সংবিধানকে’ কবর দেওয়া হবে।
এদিকে গতকাল প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানান, আগামী ৩১ ডিসেম্বর ‘জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র’ দেওয়ার যে কর্মসূচি দেওয়া হয়েছে তা স্পষ্ট নয়। রোববার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, ‘৩১ ডিসেম্বরের ঘোষণার বিষয়টি স্পষ্ট না, এতে সরকারের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।’
এআর-০১/৩০/১২ (জাতীয় ডেস্ক)