ব্রণ কী ও কেন? কী এর চিকিৎসা?

ব্রণ কী ও কেন

ব্রণ ত্বকের দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহজনিত অবস্থা যা এর তেল গ্রন্থি বন্ধ হয়ে গেলে দেখা দেয়। সাধারণত বয়ঃসন্ধিকালে এটি হয়। তবে, এ নিয়ে চিন্তার কিছু নেই।

ব্রণ বেশি হয় তৈলাক্ত ত্বকে। ব্রণের ফলে মুখ, গলা ও কাঁধে কালো আঁচিল, ফুসকুড়ি দেখা দেয়।

ব্রণের কারণ কী?

ব্রণ দেখা দেয় তেলগ্রন্থি কার্যকলাপের ফলে এবং এ গ্রন্থি বন্ধ হওয়ায়। ব্রণের মূল কারণ হলো বয়ঃসন্ধিকালে হরমোনের মাত্রা বৃদ্ধি। খাবারের কারণে ব্রণ হয় না। ব্রণ রয়েছে এমন একজন ব্যক্তির ভাজা খাবার, চকোলেট বা অন্য কোনো খাবার এড়িয়ে যাওয়ার কোনো দরকার নেই। যৌন কার্যকলাপের কারণেও এটি হয় না। ময়লা থেকে সৃষ্টি হয় না আবার প্রায়ই মুখ না ধোয়ার কারণেও হয় না। বাতাসে তেলগ্রন্থির রাসায়নিক প্রতিক্রিয়ার কারণে ব্লাকহেডের ওপরটা কালো হয়। সাধারণত ২০ বছর থেকে ২৫ বছর বয়স পর্যন্ত ব্রণ স্থায়ী হয়।

ব্রণের ধরন

ব্রণ মূলত চার প্রকার। পিওরলি কমেডোনাল যেমন নন-ইনফ্লেমাটোরি, মিল্ড প্যাপুলার, স্কেয়ারিং প্যাপুলার এবং নডুলার বা স্কেয়ারিং।

চিকিৎসা

উপযুক্ত চিকিৎসায় ত্বকের ব্রণ নিয়ন্ত্রণে বা হালকা স্তরে আসতে পারে। দিনে দুইবার বিশেষ করে ব্যায়ামের পর কোমল সাবান দিয়ে ত্বক পরিষ্কার করতে হবে। ত্বক স্ক্রাবিং এড়াতে হবে। এটি ক্ষতিকর কারণ এটি তেল গ্রন্থিগুলোর মুখে অস্বস্তি সৃষ্টি হয় এবং একপর্যায়ে তা বন্ধ হয়ে যেতে পারে। মুখে তৈলাক্ত বা চটচটে কোনো পদার্থ ব্যবহার করা যাবে না। তৈলাক্ত এবং চটচটে পদার্থ তেলগ্রন্থি বন্ধ করে দেয় এবং ব্রণ দেখা দেয়।

যদি অপরিহার্য না হয়, জল-ভিত্তিক কভার-আপ প্রসাধনী ব্যবহার করুন এবং ঘুমের সময় তা ধুয়ে ফেলুন। প্রতিদিন চুলে শ্যাম্পু করুন। চুলের জন্য টনিক বা ক্রিম বিশেষ করে চটচটে উপাদান এড়িয়ে চলুন। চুল থেকে এসব পদার্থ মুখে ছড়িয়ে পড়তে পারে এবং হতে পারে ব্রণ। নখ বা কোনো কিছু দিয়ে খুঁচিয়ে ব্লাকহেড তুলে ফেলা যাবে না। নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে। কোনো ওষুধ ব্যবহার করলে তার কোর্স শেষ করতে হবে।

আরএম-১৮/০৬/১২ (লাইফস্টাইল ডেস্ক)