সব প্রেমিকেরই দায়িত্ব প্রেমিকার মুড খারাপ হলে, সেটা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মেরামত করার। না হলে আর তিনি প্রেমিক কীসে?
সম্পর্কের কিছু দায়িত্ব থাকে এবং তার মধ্যে প্রথম দায়িত্ব হল পরস্পরের মন ভাল করা। না হলে আর সম্পর্কে থাকার কোনও মানে হয় কি? প্রেমিকার রাগ সপ্তমে চড়লে অথবা দুঃখে মন একেবারে টইটম্বুর হলে প্রেমিকেরই দায়িত্ব পড়ে প্রেমিকাকে ওই মানসিক অবস্থা থেকে বের করে নিয়ে আসা।
এ ব্যাপারে কম-বেশি অভিজ্ঞ সকলেই। নীচে রইল আরও কিছু দাওয়াই—
১. সব প্রেমিকা যে চকোলেট দিলে গলে যাবে, এমনটা ভাবা খুব ভুল। আসলে চকোলেট জিনিসটি পেয়ে পেয়ে সেটা বড্ড একঘেয়ে হয়ে গিয়েছে। বরং প্রেমিকার জন্য নিয়ে যান ললিপপ অথবা একটা ডাব। এমন জিনিস নিয়ে মুড ঠিক করতে এসেছেন দেখে অত্যন্ত গম্ভীর প্রেমিকাও হেসে কুটিপাটি হবেন।
২. মজার জোক শুনিয়ে মুড ঠিক করার চেষ্টা খুবই সেকেলে ব্যাপার। বরং এমন কিছু তাঁকে বলুন যাতে তিনি বিরক্তির শেষ সীমায় পৌঁছে গিয়ে বেশ খানিকটা চিৎকার-চেঁচামেচি করেন। যত বেশি চিৎকার, ততই তাঁর মনের মধ্যে ঝিম ধরা দুঃখ কেটে যাবে। চেঁচামেচি শেষ হলে তিনি বেশ একটা লম্বা নিঃশ্বাস ফেলে স্বাভাবিক হবেন।
৩. জাদু কি ঝপ্পি সব সময়েই যে কোনও মানুষেরই মন ঠিক করতে কাজ দেয়। মুড খারাপ থাকলে প্রেমিকাকে একটা দীর্ঘ ঝপ্পি দিয়েই ক্ষান্ত হবেন না। হাতটা ধরে থাকুন অনেকটা সময়, যতক্ষণ সম্ভব। একটা কুইক ঝপ্পির চেয়ে, অনেকটা সময় হাত ধরে থাকা তাঁকে অনেকটা বেশি শান্তি দেবে।
৪. বাড়িতে বা অফিসে, যেখানেই তিনি থাকুন না কেন, তাঁকে সেখান থেকে বের করে নিয়ে এসে বেরিয়ে পড়ুন লং ওয়াকে। যেখানে রাগ বা মন খারাপের উৎস, সেখানে যত বেশিক্ষণ তিনি থাকবেন, ততই খারাপ। কিন্তু এই বাড়ি বা অফিস থেকে তাঁকে হাইজ্যাক করা একটা আর্ট। এই ব্যাপারে প্রেমিককে একটু হাত পাকাতে হবে, একটু মাথা খাটাতে হবে এবং অনেকটা নির্লজ্জও হতে হবে (অনেকটা ‘বোঝেনা সে বোঝেনা’ ছবির মিমি চক্রবর্তীর মতো)।
৫. হবু বা সম্ভাব্য শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের প্রশংসা যে কোনও মেয়েরই মুড ভাল করে দেয়। প্রেমিকাকে নিয়ে যা যা ভাল কথা বলেন আপনার বাড়ির লোক, সে সব বলুন তাঁকে (খানিকটা রং চড়িয়ে হলেও)। মুখে হাসি ফুটতে বাধ্য।
আরএম-০৫/২৫/১২ (লাইফস্টাইল ডেস্ক)