রাগ নিয়ন্ত্রণ রাখতে যা করবেন
রাগ একটি স্বাভাবিক বিষয়। তবে তা ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায় যখন তা প্রকাশ পায়। আর রাগের বশবর্তী হয়ে কোনও ভুল কাজ আপনার ক্যারিয়ারের জন্য হতে পারে ক্ষতির কারণ। তাই রাগ নিয়ন্ত্রণ খুবই জরুরি।
লাইফস্টাইল বিষয়ক জনপ্রিয় ওয়েবসাইট ‘লাইফ হ্যাক’-এ প্রকাশিত ক্রিসি ব্রেডির নিবন্ধ ‘থিংস টু ডু হোয়েন ইউ ফিল এক্সটিমলি অ্যাংরি’-তে উঠে এসেছে রাগ নিয়ন্ত্রণের বেশ কিছু কার্যকর উপায়। আপনাদের সুবিধার্থে নিবন্ধটির সারসংক্ষেপ তুলে ধরা হলো।
শারীরিক ব্যায়াম
একাধিক গবেষণায় দেখা যায়, নিয়মিত ব্যায়াম শারীরিক সামর্থ্য বাড়ানোর পাশাপাশি মানুষের মনোযোগ এবং আত্মনিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা বাড়ায়। নিয়মিত ব্যায়াম রাগ নিয়ন্ত্রণের জন্য সহায়ক।
মেডিটেশন
মানসিক সামর্থ্য বাড়ানোর জন্য মেডিটেশন হতে পারে কার্যকর উপায়। নিয়মিত মেডিটেশন কোরটিসল নামক হরমোন কমিয়ে আনে। মানুষ যখন অতিরিক্ত চাপে থাকে তখন এই কোরটিসল হরমোন নির্গত হয়। আবার মেডিটেশনের সময় সেরোটোনিন নামক হরমোন নির্গত হয়, যা ভালো অনুভূতির সঞ্চার করে। ফলে এক রকম ভারসাম্য রক্ষা হয়।
রাগান্বিত অবস্থায় যোগাযোগ বন্ধ রাখা
রাগান্বিত অবস্থায় যোগাযোগ বন্ধ রাখা বুদ্ধিমত্তার পরিচয়। রাগান্বিত অবস্থায় হুট করে ই-মেইল পাঠানো বা কাউকে হুট করে কিছু বলে বসা আপনার ক্যারিয়ারের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
একটি খতিয়ান রাখা
কোনদিন কী কারণে রাগ হলো সেটির একটি সংক্ষিপ্ত খতিয়ান রাখা গেলে ২-৩ মাস পর যখন আপনি তা দেখবেন সহজেই বুঝতে পারবেন আপনার রেগে যাওয়ার মূল কারণগুলো। নোট করে রাখা আপনার চিন্তার বিকাশ এবং সমাধানের নতুন ধারণা বের করে আনতে সহযোগিতা করবে।
আত্মসমালোচনা করুন
কারো উপর রেগে যাওয়ার আগে ভেবে দেখুন আপনার কী কী দোষ রয়েছে। এই চিন্তা আপনাকে তাৎক্ষণিকভাবে রাগ থেকে বিরত রাখবে। আবার এমনও হতে পারে, আপনি যে কারণে কারও প্রতি রেগে গেলেন সেই একই দোষ আপনার মাঝেও রয়েছে।
হাসির মুভি বা শো দেখতে পারেন
হাসি আমাদের মাংসপেশিকে শান্ত করে, আমাদের মানসিক চাপ দূর করে এবং আমাদের মনকে প্রফুল্ল করে। হাসির কোনও শো বা নাটক বা মুভি তাৎক্ষণিকভাবে আপনার মনকে ভালো করে দিতে পারে।
গান শুনতে পারেন
একাধিক গবেষণায় দেখা যায়, বিভিন্ন রকম সঙ্গীত আমাদের মনে ভিন্ন ভিন্ন প্রভাব ফেলে। সফট এবং স্লো মেলোডির গান আমাদের মনকে শান্ত করতে সাহায্য করে।
কিছু সময়ের জন্য একটু ভিন্ন পরিবেশে থাকুন
যখন রেগে যান তখন কিছু সময়ের জন্য একটু প্রাকৃতিক নিরিবিলি পরিবেশে ঘুরে আসুন। যেমন, সবুজ শ্যামল পরিবেশে কিছু সময় থাকা পুকুর পাড়ে ৫ মিনিট হাঁটা আপনার মন তাৎক্ষণিকভাবে ভালো করে দিতে পারে।
পরিস্থিতি থেকে নিজেকে বের করে আনা
যে কারণে আপনি বারবার রেগে যাচ্ছেন, সেটি চিহ্নিত করে তা সমাধানের চেষ্টা করুন আর যদি তা সমাধান সম্ভব না হয় সেই পরিস্থিতি এড়িয়ে চলুন।
বারংবার চেষ্টা
আপনি দু একবার চেষ্টার ফলে রাগ সম্পূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন না। যেকোনও বদ অভ্যাসই বারংবার চেষ্টার ফলে দূর হয়। আপনি যদি সত্যিকার অর্থেই রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে চান, এ বিষয়টি বিশেষভাবে গুরুত্ব দিয়ে আপনাকে কাজ করতে হবে।
আরএম-০৪/০৯/০১ (লাইফস্টাইল ডেস্ক)