কী করে বলবেন ‘আই লাভ ইউ’? রইল পাঁচ টিপস

কী করে বলবেন

কথায় আছে, ‘অ্যাকশনস স্পিক লাউডার দ্যান ওয়ার্ডস’। মুখে বলার চেয়ে কাজে করে দেখানো অনেক বেশি প্রভাবশালী, অনেক বেশি সহজ। এই ফান্ডা যদি প্রোপোজ করার বেলাতেও কাজে লাগানো যায়? গতানুগতিক ‘আই লাভ ইউ’ না বলে এমন কিছু করে দেখানো যায়, যাতে মনের ভাব বুঝিয়ে দেওয়া যায়৷ থাকল এই কাজেরই পাঁচ পরামর্শ।

ডায়েট সিক্রেট: বিরাট কোহলি প্রজন্মের কাছে ফিটনেস ধ্যান, ফিটনেস জ্ঞান। কিন্তু বিরাট কোহলির মতো ডিসিপ্লিন তো সবার নেই। আমাদের স্লিম ফিগার চাই, কিন্তু উইকএন্ডে বিরিয়ানি-পিৎজা ছাড়াও চলে না। এই অবস্থায় কেউ যদি স্লিম থাকার গোপন দু’এক টুকরো টিপস আপনাকে দিয়ে দেয়, সেটা ‘আই লাভ ইউ’-র মতোই মধুর শোনাবে কি না বলুন? ইন্টারনেটে ভেসে বেড়ানো সন্দেহজনক টিপস নয়। বিশ্বস্ত সূত্রের নির্ভরযোগ্য পরামর্শ, যা কাজে দেবেই দেবে। সেটা কোনও বিশেষ ফুড-টিপস হতে পারে বা দারুণ একজন ট্রেনারের হদিশ। মোদ্দা কথা, ‘আই কেয়ার অ্যাবাউট ইওর ফিটনেস’- এ কথা প্রিয় মানুষটাকে বোঝাতে পারলে ‘আই লাভ ইউ’ বলার আর দরকারই পড়বে না।

ওয়েট লস বাডি: দশজনের মধ্যে সাড়ে ন’জন ওজন কমানোর রাস্তায় নামতে আগ্রহী। কিন্তু এঁদের অনেকের ওয়েট লস জার্নি শুরু হতে না হতেই শেষ হয়ে যায়৷ স্রেফ পর্যাপ্ত উৎসাহের অভাবে। দু’দিন জিমে গিয়ে তৃতীয় দিন যাওয়ার মোটিভেশন পান না অনেকেই। আপনার প্রিয় মানুষ যদি হয় এঁদের একজন, তাকে ‘আই লাভ ইউ’ বলার সেরা উপায় হল তার জিমের মেম্বারশিপ নিয়ে ফেলা। এবং একই সময় জিমে গিয়ে, নিজে জিম করে তাকেও ফিট থাকতে মোটিভেট করা। তার জন্য আপনি এত বড় কমিটমেন্ট করছেন, দেখার পর কঠিনতম হৃদয়ও গলতে বাধ্য।

টেকনিক্যাল সাপোর্ট: আপনি যাকে নীরবে ভালবাসেন, তার ল্যাপটপ তার সঙ্গে ব্রেকআপ করতে উদ্যত। এখুনি ফর্ম্যাট না করালেই নয়। কিন্তু সে বেচারি বুঝতেই পারছে না, সমস্যাটা কোথায়। সার্ভিস সেন্টারে একগাদা টাকা খরচ করার আগে ধরা যাক আপনি তার ল্যাপটপের রোগ সারিয়ে তুললেন। বা নতুন আসা, হুট করে জনপ্রিয় হয়ে যাওয়া একটা অ্যাপ সে ব্যবহার করতে চায়, কিন্তু ব্যাপারটা ঠিক সড়গড় হচ্ছে না। প্রেস্টিজ খোওয়ানোর ভয়ে যাকে-তাকে জিজ্ঞেসও করতে পারছে না। এই পরিস্থিতিতে আপনার আবির্ভাব, অ্যাপ-এক্সপার্ট হিসেবে। দু’দিন কোনও ক্যাফের নির্জনতায় বসে তাকে অ্যাপের অলিগলি বুঝিয়ে দিলেন। এর পর যদি সে-ই আপনাকে ‘আই লাভ ইউ’ বলে, অবাক হবেন না।

পেন ড্রাইভে প্রেম: এক সময় হাতে লেখা লাভ-লেটার ছিল প্রেম নিবেদনের অব্যর্থ অস্ত্র। এখন কালি-ভরা পেনের জায়গায় এসেছে কনটেন্ট-ভরা পেন ড্রাইভ। ছোট্ট এই ডিভাইস ছাড়া জেন ওয়াইয়ের অস্তিত্ব ভাবা যায় না। ধরা যাক প্রিয় মানুষটিও আপনার কাছে কোনও সিরিজ বা সিনেমার আবদার করেছে। তার সঙ্গে পেন ড্রাইভে যদি একটা রোম্যান্টিক ফিল্মও লোড করে দেন, নিঃশব্দে প্রেম নিবেদন করা হয়ে যাবে। আপনার ইশারায় সে সাড়া দিলে দারুণ ব্যাপার। না দিলেও তাকে বুঝিয়ে বলতে পারবেন, ভুল করে ওই ফিল্মটা সিলেক্ট হয়ে গেছিল। হৃদয়ভঙ্গের ঝুঁকি থাকলেও এতে সম্মানহানির কোনও ভয় নেই।

নেটফ্লিক্স অ্যান্ড চিল: আধুনিক জীবনের কত শতাংশ এখন নেটফ্লিক্সের দখলে, তা নিয়ে গবেষণা হতেই পারে। সেটা আলাদা ব্যাপার। নেটফ্লিক্স-কে হাতিয়ার করে আপনি যে নিজের প্রেমকাহিনি শুরু করতে পারেন, সেটা বরং ভেবে দেখুন। আপনার পছন্দের মানুষের হয়তো নেটফ্লিক্স অ্যাকাউন্ট নেই, অথচ নতুন একটা সিরিজ দেখার আগ্রহ প্রচুর। তার সঙ্গে নিজের প্রোফাইল শেয়ার করতে পারেন। দু’জনে একসঙ্গে বসে একটা সিরিজ দেখার মতো রোম্যান্টিক অভিজ্ঞতা এখন খুব কম। লম্বা সিরিজ হলে তো কথাই নেই। তবে দাতা কর্ণ হয়ে ডেট সেট করার আগেই পাসওয়ার্ড শেয়ার করবেন না। তাতে উলটো ফল হতে পারে।

আরএম-০৯/১২/০২ (লাইফস্টাইল ডেস্ক)