নারী পুরুষের সমান অধিকার নিয়ে বার বার বিতর্ক-আলোচনা উঠলেও, ‘একটি মেয়ের জীবনের মূল লক্ষ্যই বিয়ে’ এমন প্রচলতি ধ্যান ধারনা এখনও রয়েই গেছে। কথায় বলে এ সমাজে নারীরা কুড়িতেই বুড়ি।
আর এই কথাটি বলার কারণ হল, ৩০ বছর বয়সের পরেই মেয়েদেরকে বিয়ে করিয়ে দেয়ার জন্য নানান দিক থেকে চাপ সৃষ্টি করা হয়। কোন মেয়ের বয়স বাড়লেই পরিবার, আত্মীয়, বন্ধু-বান্ধব, পাড়া প্রতিবেশী সকলেই বিয়ের ব্যাপারে এত প্রশ্ন করে যা অনেক সময় চরম বিরক্তিকর হয়ে পড়ে অবিবাহিত মেয়েদের কাছে। এক ঝলকে দেখে নেওয়া যাক ৩০ পেরোন অবিবাহিত মেয়েদের সমস্যার সাতকাহন।
প্রথমত, বাড়ির ভিতরেই সকালে ঘুম থেকে উঠে টেবিল থেকে রাতে শুতে যাওয়া পর্যন্ত বার বার বাবা-মাকে আক্ষেপ করতে শোনা যায় মেয়ের বিয়ে দিতে না পারার জন্য। তাদের অমন অবস্থা দেখে নিজেকেই অপরাধী মনে হয় মেয়েদের।
দ্বিতীয়ত, বাড়ির বাইরে কর্মক্ষেত্রে গেলেই চার পাশে লোকজনের বিয়ের গল্প চলে তখনই আবার আইবুড়ো মেয়েদের প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়, কেন এখনও তার বিয়ে হল না? যা অবশ্যই অস্বস্তির কারণ।
তৃতীয়ত, কোন বিয়ে অথবা অনুষ্ঠানে যাওয়ার উপায় নেই। সেখানে মনের আনন্দে সেজে গুজে গিয়ে খাওয়া দাওয়া করার উপায় নেই। সেখানেও শুনতে হচ্ছে সেই একই প্রশ্ন কেন সে এখনও বিয়ে করছে না?
চতুর্থত, বয়স হয়েছে কিছুটা অথচ বিয়ে না হওয়ায় কেমন পোশাক পরবেন তা নিয়েও একটা চিন্তা মাথায় কাজ করে। বেশি জমকালো পোশাক পরলেও কেউ কটাক্ষ করে। আবার তা না পরার জন্যও কেউ কেউ হাসাহাসি করে থাকেন।
পঞ্চমত, বেশি বয়স হয়ে গেলে কোন অনুষ্ঠানে গিয়ে আড়ষ্ঠতা থাকে কারণ সমবয়সী এমনকী ছোটরাও যেখানে স্বামীর অথবা বয়ফ্রেন্ডের হাত ধরে যাচ্ছে সেখানে তিনি সঙ্গীহীন। তখন নিজেকে অনেক অসহায় লাগে ।
ষষ্ঠত, বিয়ে না হওয়ায় ৩০ ঊর্ধ্ব নারীর নিরাপত্তাও অনেক সময় বিঘ্নিত হয়, কারণ এই একা মহিলাদের অনেকেই সহজলভ্য বলে মনে করে নানা রকম কুপ্রস্তাব দেন। এমনকী একা রয়েছেন বলে অনেক পুরুষের শিকার হয়ে যান ওই নারীটি।
সপ্তমত, কোন নারী বিয়ে না করে একা রয়েছেন এজন্য অনেকেই তাকে ভাল চোখে দেখেন না এবং ওই অবিবাহিত মহিলা সম্পর্কে মিথ্যা দুর্নাম রটানো হয়।
আরএম-২০/১৫/০২ (লাইফস্টাইল ডেস্ক)