তরুনীদের দেহে হঠাৎ পরিবর্তন কেন ঘটে?

তরুনীদের দেহে

হঠাৎ করেই একদিন পরিচিত মুখের মেয়েটির কিছু শারিরীক পরিবর্তন চোখে পড়ে। তার দেহের বাহ্যিক কিছু অঙ্গের আকৃতি পরিবর্তন হয়েছে। এতে বেশীরভাগ অশিক্ষিত কিংবা শিক্ষিত-অসচেতন ব্যাক্তি নানা কু-মন্তব্য শুরু করেন। যা মূর্খতা ছাড়া আর কিছুই না।

নারীর বিশেষ কিছু অঙ্গের বাহ্যিক আকৃতি বৃদ্ধি পেলেই যে সে যৌন সম্পর্ক করেছে সেটা কিন্তু একেবারেই ঠিক নয়। আর যৌনসম্পর্ক স্থাপন করা কোন বাজে বিষয় নয়। এটা প্রতিটি মানুষের অধিকার। যাই হোক আসল কথায় আসি।

নারীদেহ প্রকৃতির এক জটিল এবং শৈল্পিক সৃষ্টি। নিজের দেহ নিয়ে আলোচনায় নারীরাও কম যান না। মুখে স্বীকার না করলেও অনেক তরুণীই স্তনের আকৃতিকে নারীদেহের গর্ব বলে মনে করেন। সাধারণত প্রাকৃতিক কারণেই টিনএজ বা কিশোরী বয়সে নারীদেহে কিছু পরিবর্তন দেখা দেয়।

যেমন, টিনএজে মেয়েদের স্তন, নিতম্ব হঠাৎ করে বড় হয়ে যাওয়া একটি সাধারণ সমস্যা। অনেক ক্ষেত্রেই স্তনের আকার এতটাই বড় হয়ে পড়ে যে তা মানুষের চোখে পড়ে।

এমন সমস্যায় অনেক মেয়েই প্রথমবার পড়েন বলে ঘাবড়ে যান। প্রথম গর্ভধারণের সময়ও এমনটা হতে পারে। কিন্তু কেন এমন হয়? এর সমাধানই বা কী?

আসলে বয়ঃসন্ধির সময় নারীদেহে ইস্ট্রোজেন নামক এক ধরনের হরমোনের ক্ষরণ শুরু হয়। যার প্রভাবে মেয়েদের স্তনের স্বাভাবিক পূর্ণতাপ্রাপ্তি ও বৃদ্ধি শুরু হয়।

কিন্তু কখনও কখনও মেয়েদের শরীরে ইস্ট্রোজেনের অস্বাভাবিক ক্ষরণ হতে শুরু করলে স্তনের অস্বাভাবিক ও অনিয়ন্ত্রিত বৃদ্ধি শুরু হয়। এতে ভয়ের তেমন কোনও কারণ নেই বলেই জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

তবে এ কথা ঠিক যে সমস্যাটি অস্বস্তিকর। এরকমটা হলে অনেকেই আক্রান্ত টিনএজ মেয়েটি সম্পর্কে কু-কথা বলতে শুরু করেন। যেহেতু এটা মারাত্মক কোন সমস্যা নয় তাই খুব বেশী দরকার না হলে ডাক্তারের কাছে যাওয়া জরুরী নয়।

তবে কেউ দেহের গঠন ঠিক রাখতে চাইলে যেতে পারেন। অনেক সময় ইস্ট্রোজেন-বিরোধী ওষুধ ব্যবহার করে এই সমস্যায় ভাল ফল পাওয়া যায়। যোগব্যায়ামেও এই সমস্যার খানিকটা সমাধান হয়।

আরএম-২১/১৫/০২ (লাইফস্টাইল ডেস্ক)