একজন কাঙ্ক্ষিত নারীর মাঝে যেসব বৈশিষ্ট্য খোঁজেন পুরুষেরা

একজন কাঙ্ক্ষিত নারীর

বেশির ভাগ নারী চায় নিজেকে আত্মবিশ্বাসী এবং আকাঙ্ক্ষিত নারীতে পরিণত করতে। তবে  সবাই তা অর্জন করতে পারেন না। প্রত্যেক নারী ও পুরুষই তার ভবিষ্যৎ সাথীর এমন একটি প্রতিচ্ছবি তৈরি করে যা তারা তাদের হবু সাথীর মধ্যে পাওয়ার আশা করেন। আসুন জেনে নেই অতি প্রয়োজনীয় আকাঙ্ক্ষিত নারীদের যে বৈশিষ্ট্যগুলো থাকে সে সব সম্পর্কে।

১। কারো পিছু নেয় না

একজন আকাঙ্ক্ষিত নারী কারো পিছু নেয় না। এর কারণ সে জানে এটা করা শুধুমাত্র সময়ের অপচয়। তারা এটাও জানে, নিজেকে আরো উন্নত করাটাই অনেক বেশি ভালো ধারণা। নারীরা যখন উন্নতি করবে তখন  অপরজন তাদের প্রতি বেশি মনোযোগী হবে। অন্যের পিছু নেয়ার  তাদের কোন সময় থাকেনা। আর এর কারন নারীরা নিজেদের জীবন উন্নত করতেই ভীষন ব্যস্ত থাকে। এবং যে সব নারীরা এ রকম কাজটি করে থাকেন তারা হয়ে উঠেন আরো অনেক বেশি আকাঙ্ক্ষিত, ভাবনাহীন ও আত্মবিশ্বাসী। এসব নারীরা নিজেদের মতে সম্পূর্ণা।

২। আবেগের উপর নিয়ন্ত্রণ থাকে

এসব নারীরা তাদের কোন খারাপ সম্পর্ক বা ব্যর্থতার জন্য নিস্তেজ হয়ে পড়েনা। এরা সব সময় তাদের আবেগের উপর ভীষন ভাবে নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারে। আর এরা অপ্রয়োজনীয় আবেগকে প্রশ্রয় দিয়ে তাদের সময় এবং শক্তি নষ্ট করেনা। এমন কাজ করেনা যা তাদের উন্নতির পথে বাধা হয়ে দাঁড়াবে। তারা শিশুর মত কান্নায় ভেঙ্গে না পড়ে মেরুদন্ড সোজা করে সামনের পথে এগিয়ে যায়।

৩। পরচর্চা এড়িয়ে চলে

কাঙ্ক্ষিত নারীরা তাদের মূল্যবান সময় পরচর্চায় খরচ না করে সৃষ্টিশীলতায় খরচ করে। অনেক বেশি কথা বলা ও পরচর্চা করলে নাটকীয়তা দেখা দেয়। পরচর্চা, নাটকীয়তা এবং অপ্রয়োজনীয় কথা স্কুলের মেয়েদেরকে মানায়, প্রশংসার যোগ্য নারীকে মানায় না- এটা তারা ভালো করেই জানেন।

৪। মনোযোগ আকর্ষণের চেষ্টা করে না

সোস্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে প্রতিনিয়ত সেলফি আপলোড করা এবং রিলেশনশিপ স্ট্যাটাস পরিবর্তন করা এ ধরনের কাজ তারা করেনা। তারা সামান্য বিষয় সবার সামনে উপস্থাপন করেনা। এই ধরনের নারীরা সত্যি এবং অর্থবহ অর্জন নিয়ে কথা বলতেই সব সময় পছন্দ করেন। তারা তাদের মনের সাথে মিল এই ধরনের মানুষের মনোযোগ অর্জনে বিশ্বাসী। প্রতিদিনের টুকিটাকি বিষয়ের উপস্থাপনের মাধ্যমে মনোযোগ নষ্ট করার চেষ্টা করেননা। আর এর ফলে তারা অনেক মর্যাদার অধিকারী হয়। এ ধরনের নারীরা তাদের জীবনের কিছু রহস্য বজায় রাখে। এবং এর সাথে সাথে তাদের জীবনে অল্প কিছু মানুষের শুধুমাত্র প্রবেশাধিকার থাকে।

৫। ভীষণ বুদ্ধিমান

বুদ্ধিমত্তা সব সময় আইকিউকেই নির্দেশিত করেনা। আকাঙ্ক্ষিত নারীরা ব্যাপক ভাবে বুদ্ধিমতি এই অর্থে যে, নারীরা এই পৃথিবী এবং তার আশেপাশের  মানুষদের ভালোভাবে বুঝতে পারে। তাদের বোঝার একটি নির্দিষ্ট ধরণ থাকে। আর সেটা আসে তাদের অভিজ্ঞতা থেকে, ভুল থেকে এবং জীবন থেকে পাওয়া শিক্ষা থেকে। তাদের বোধশক্তি যা তাদেরকে কমনীয় করে। তারা ভেবেচিন্তে কথা বলে।

৬। মাধুর্যপূর্ণ

নারীত্বের গৌরব, সম্পর্কে তারা সচেতন। আর তাই তারা করুণা এবং কমনীয়তায় পরিপূর্ণ থাকে। শারীরিক ত্রুটি বিচ্যুতির জন্য চিন্তিত হয়ে পরেন না। তারা কমনীয় মাধুর্যপূর্ণ হয় যা শুধুমাত্র একজন নারীই বহন করতে পারে। এ ধরনের নারীরা ভালো পোশাক পরিধান করে এবং এটাও জানে যে, দামী পোশাক পড়লেই সৌন্দর্য প্রকাশিত হয়না। সৌন্দর্য এবং মাধুর্য আসে আত্মবিশ্বাস থেকে।তাছাড়াও সম্পর্ক এবং আবেগের দিকেও তারা যুক্তিবাদী। নারীরা যোগাযোগ রক্ষার ক্ষেত্রেও অগ্রগামী, এ ধরনের নারীরা তাদের সীমাবদ্ধতা সম্পর্কে সঠিক ধারণা রাখেন, এবং ক্ষমাপূর্ণ ও কৃতজ্ঞ হয়, আকাঙ্ক্ষিত ও কাম্য নারীদের নিজ নিজ শখ থাকে এই কাজে তারা তাদের সময় ব্যয় করে এ ধরনের বৈশিষ্ট্য গুলো দেখা যায় এক জন কাঙ্ক্ষিত নারীর মধ্যে।

আরএম-২২/১৫/০২ (লাইফস্টাইল ডেস্ক)