দাম্পত্যে তৃপ্তি আনতে চান?

দাম্পত্যে তৃপ্তি

বিয়ের পরপর স্বামী বা স্ত্রীর সাথে ভালো সময় কাটানো গেলেও কয়েক বছর পর, বিশেষ করে সন্তান জন্ম নেওয়ার পর একে অপরকে সময় দেওয়াই যায় না বলতে গেলে।

কাজের চাপ, বাচ্চাকাচ্চা আর দৈনন্দিন জীবনের খুঁটিনাটির ভিড়ে প্রিয়জনকে গুরুত্ব দেওয়া যায় না একদম। কিন্তু জীবনসঙ্গীর সাথে সময় কাটানো দাম্পত্য জীবনে খুবই জরুরি! শত ব্যস্ততার মাঝেও এই সময় বের করতে হবে। তার জন্য করুন একটি কাজ।

জেনে রাখুন, প্রতিদিন খুব কম সময় একসাথে ব্যয় করাটাও দাম্পত্য জীবনে উপকারী। এর জন্য আপনার কোনো টাকা ব্যয় করতে হবে না, অন্য কোনো কাজ বাদ দিতে হবে না। এই কাজটিকে বলা হয় ‘ডেইলি গ্লু’।

সন্তান রয়েছে এমন বাবা মা একে অপরকে সময় দিতে হবে দিনে ৩-৫ বা, প্রতি বার ৫-১০ মিনিট করে। তারা হয় একে অপরকে টেক্সট করেন, ফোনে কথা বলেন বা দিনের শেষে একসাথে বসে কথা বলেন।

সারা দিনেই কয়েকবার এভাবে যোগাযোগ করলে আপনার মনে হবে, সঙ্গী সারাদিন আপনার পাশেই আছে, আপনার জীবনের সুখ-দুঃখ ভাগ করে নিচ্ছে।

এ ছাড়া দিনের বিভিন্ন সময়ে কথা বললে রাতের বেলায় একেবারে সব কথা বলে ফেলতে হবে, এমন মনোভাবটাও থাকে না। সারাদিন আপনার মেজাজ ভালো কী ভালো না, মিটিং ভালো গেছে না খারাপ গেছে, এটা আগে থেকেই বুঝতে পারবেন আপনার সঙ্গী।

সন্তান নিয়েছেন বা নেননি- এমন দুই ধরনের দম্পতির জন্যই এই পদ্ধতি কাজে আসবে। তবে যাদের সন্তান আছে, তাদের জন্য অনলাইনে যোগাযোগ করাটা বেশ উপকারী।

ই-মেইল বা টেক্সটের মাধ্যমে একে অপরকে জিজ্ঞেস করতে পারেন, ‘দোকান থেকে অমুক জিনিসটা আনতে পারবে?’ বা ‘কালকে অফিস যাওয়ার সময়ে বাবুকে স্কুলে দিতে পারবে?’ এতে আসলে সিদ্ধান্তগুলো চোখের সামনে থাকে ও ভুলে গেলেও একবার চোখ বুলিয়ে নেওয়া যায়।

সারাদিন একটু একটু করে কথা বললে দিনের শেষে যখন আধাঘন্টা সময় পাবেন, তখন আলু-পটল-বাচ্চার স্কুল সংক্রান্ত চিন্তা আর থাকবে না। তখন দুজনে মিলে বেশ ফুরফুরে সময় কাটাতে পারবেন। দুজনে একসাথে টিভি দেখা, আড্ডা দেওয়া এমনকি খুনসুটিও চলতে পারে।

আরএম-১২/১৭/০২ (লাইফস্টাইল ডেস্ক, তথ্যসূত্র: গুড হাউজকিপিং)