মেয়েদের যে কথাগুলো মুখে বলে না, বুঝে নিতে হয়!

মেয়েদের যে কথাগুলো

কথায় ছিল “বুক ফাটে তো মুখ ফোটে না”। নারী সম্বন্ধে সেই সংজ্ঞাই প্রচলিত ছিল সত্তরের ব্ল্যাক-অ্যান্ড-হোয়াইট যুগ পর্যন্ত। মনে আছে হেমন্তর গাওয়া “খিড়কি থেকে সিংহদুয়ার, এই তোমাদের পৃথিবী”? ধীরে ধীরে দেশ-দুনিয়া রঙিন হয়েছে। সিংহদুয়ার হারিয়েছে অনেককাল। নারীস্বাধীনতা (অন্তত শহরাঞ্চলে) বেড়েছে জ্যামিতির হারে। এখন মুখে কী ফোটে আর কী ফোটে না? এখন শুধু ফাটে। বোমা ফাটার মতো ফাটে। অনেক বাড়িতেই আজ নারীর অত্যাচারে জেরবার স্বামী।

অবশ্য এরই মাঝে কিছু মেয়ে আছে একটু ইন্ট্রোভার্ট গোছের। কম কথা বলে। তাদের জন্য এবং তাদের পুরুষসঙ্গীর জন্য এই প্রতিবেদন। গোপনীয়তা বলতে যা কিছু থাকে, তা এদেরই থাকে। এই ধরনের মেয়েরা বিয়ের পর স্বামীর সংসার করে, ছেলেমেয়ে মানুষ করে, শ্বশুর-শাশুড়ির দেখাশোনা করে। সবই করে মুখ বুজে।

এদের ক্ষেত্রে বলা যায় বুক ফাটে তো মুখ ফোটে না। অনেক আশা-আকাঙ্খা মনের ভিতর থেকে যায়। কিন্তু তার বহিঃপ্রকাশ হয় না। অনেক ইচ্ছা, স্বপ্ন, কল্পনা থাকে মনের গভীরে। মুখে থাকে না।

বিশেষত বিষয়টা যদি যৌন চাহিদা (পাওয়া, না-পাওয়া) নিয়ে হয়, তাহলে তার সবটুকুই থেকে যায় অনুচ্চারিত। ইন্ট্রোভার্ট স্ত্রীর এক্সট্রোভার্ট স্বামীর জানা উচিত :

* ফোর প্লে বলে একটা ‘বস্তু’ আছে : খেলার আগে মাঠের বাইরে গা-ঘামানোর একটা রেওয়াজ আছে। সেটা ভীষণ জরুরি। তাতে খেলা শুরুর প্রথম মিনিট থেকেই একটা টানটান ভাব থাকে। নাহলে খেলার প্রথমার্ধ শুধুই গা-গরম করতে বেরিয়ে যায়। মাঠে আর খাটে এই থিওরির বিশেষ কোনও তারতম্য নেই। এখানেও গা ঘামিয়ে নেওয়াটা বেশ কার্যকর। কিন্তু অধিকাংশ পুরুষেরই খেলার শুরুতেই বাউন্ডারি, ওভার-বাউন্ডারি মারার শখ। আর তাতেই শূন্য রানে আউট হন অনেকে। তারা আসল খেলাটাই হারিয়ে ফেলেন। তাদের জন্য প্রথম টিপস্ – নরম ঠান্ডা রমণীকে গরম করে তুলতে যেটুকু গা ঘামানোর (ফোর প্লে) প্রয়োজন, সেটা করুন। অনেক মুখচোরা মহিলাই সেকথা মুখে বলবেন না। এটা আপনার জানা উচিত। এবং তাতে আপনার স্কোরবোর্ডই শেষপর্যন্ত ভালো থাকবে।

* নতুন কিছু নয়, সেই গতে বাঁধা : রোজ রোজ এক জিনিস, কারই বা ভালো লাগে ? স্বাদে, গন্ধে ভিন্নতা – কে না চায় ? আপনার মধ্যে সেই ভিন্নতা, নতুনত্বের আবেদন খুঁজতে পারেন আপনার প্রেয়সী আপনারই অজান্তে। তাই তাঁকে চমক দিন। জানবেন আপনার দেওয়া চমক, তাঁকে চিরনূতন করে রাখবে। মাঝেমধ্যে একটু বাইরে নিয়ে যাওয়া। সম্পূর্ণ ভিন্ন পরিবেশে মিলিত হওয়া। ওই সপ্তাহান্তে যে কারণে বাঙালি পুরী-দিঘা যায় আর কী। শুধু ভিন্ন পরিবেশ নয়। প্রয়োজন সবকিছুতেই ভিন্নতা। বিশেষত স্টাইলে। বাকিটা আপনি জানেন ।

* জানেই না আমার কী পছন্দ, কী অপছন্দ : নিজের পছন্দ, অপছন্দ নিয়েই ডুবে থাকেন অধিকাংশ পুরুষ। সঙ্গিনীর কতটা ভালো লাগছে, কতটা লাগছে না, কী ভালো লাগে, কী লাগে না – এসব নিয়ে চিন্তা করার ইচ্ছে, ধৈর্য কোনটাই নেই বাড়ির পুরুষের। ফলে, যা হওয়ার তাই হয়। অধিকাংশ ম্যাচই ওয়াকওভার। খেলা হল কই ?

* নিজেকে নিয়েই ব্যস্ত : অধিকাংশ পুরুষেরই বদ্ধমূল ধারণা, ম্যাচের রাশ তাঁদের হাতে। তাঁদের পারফর্মেন্সই শেষ কথা। ম্যাচ এক্সট্রা-টাইম পর্যন্ত গড়াল কি না, সেই সময় মাপতেই ব্যস্ত। কিন্তু ঘড়ির কাঁটা ধরে নারী তৃপ্ত হয় না, সেকথা কে বোঝাবে। তাই সময় হিসেব না করে, নিজের পারফর্মন্স ভালো না মন্দ – সে বিচার না করে, সঙ্গিনী তৃপ্ত হল কিনা, সেদিকে নজরটা দেওয়া উচিত। তাহলেই দুয়ে-দুয়ে চার। অঙ্ক মিলে যাবে। রেজ়াল্ট একশোয় একশো।

আরএম-৩১/১৯-১০ (লাইফস্টাইল ডেস্ক, সূত্র: কলকাতা২৪)