৫০ পেরোলেই সব শেষ নয়, সমস্যাকে তুড়ি মেরে আগুন ঝরান যৌনতায়!

৫০ পেরোলেই সব

পঞ্চাশে পৌঁছেও তীব্র যৌন ইচ্ছা জাগতে পারে মনে। কিন্তু সেই ডাকে কি সাড়া দেবে শরীর? যৌনসঙ্গীর সঙ্গে নিজেও কি একই রকম তৃপ্তি পাওয়া সম্ভব? সমস্যার সমাধানে বিস্তারিত জানা জরুরি।

ইদানীং প্রায়ই শোনা যায়, পঞ্চাশ থেকে নতুন জীবন শুরু। কিন্তু সেটা যৌন সম্পর্কের ক্ষেত্রে কতটা প্রযোজ্য, তা নির্ভর করছে আপনার শারীরিক পরিস্থিতির উপর। মনে রাখতে হবে, পঞ্চাশ বছরের পুরনো শরীরে এস্ট্রোজেনের মাত্রা উল্লেখযোগ্য হারে কমে যায়। এর ফলে হট ফ্ল্যাশ ও রাতে অতিরিক্ত ঘামের সঙ্গে সঙ্গে যৌন কামনাতেও প্রভাব ফেলে।

অনেকেই জানেন, যৌন মিলনের ইচ্ছা প্রথমে জাগে মস্তিষ্কে। মগজের যে অংশ এই বাসনার জন্ম দেয়, তার নাম হাইপোথ্যালামাস। এখানেই এস্ট্রোজেন ও টেস্টোস্টেরোন গ্রহণ করে আপনার শরীর। আর এই দুই হরমোনই আপনার মনে তীব্র কামভাব তৈরি করে।

এস্ট্রোজেন যোনির জলীয় ভাব সৃষ্টি করে। এছাড়া যোনি, যোনিদ্বার-সহ অত্যন্ত সংবেদনশীল এই এলাকা পিছল ও কমনীয় রাখতেও তা জরুরি। পঞ্চাশে পৌঁছে সেই এস্ট্রোজেনের পরিমাণ কমে যাওয়ার ফলে যোনিদেশ শুকিয়ে যায়। মনে যৌন উত্তেজনা ডানা মেললেও যৌন মিলনের সময় যন্ত্রণা অথবা তার পরে ত্বকে প্রদাহ দেখা দিতে পারে। এর প্রভাব আপনার যৌন জীবনে প্রকট ভাবে পড়তে পারে।

মহিলাদের যৌন কামনার পিছনে টেস্টোস্টেরোনের ভূমিকা নিয়ে বিতর্কের সমাধান এখনও পাওয়া যায়নি, তবে মেনোপজ এলে হুট করে তার মাত্রা হ্রাস পায় না। আসলে বছর পঁচিশ বয়স থেকেই ধীরে ধীরে নারী-শরীরে কমতে শুরু করে টেস্টোস্টেরোন। অর্থাৎ, পঞ্চাশে পৌঁছে নিজের কুড়ি বছর বয়সের যৌন উত্তেজনা অনুভব করা অসম্ভব হয়ে পড়ে। তবু, যৌন ইচ্ছার পিছনে তখনও সে-ই সক্রিয় থাকে।

মোদ্দা কথা হল, বয়স আপনার যা-ই হোক, তীব্র যৌন উত্তেজনাপূর্ণ জীবন আপনার অধিকার। শারীরিক কারণে সেই কামনা বাস্তবায়িত করতে ব্যর্থ হলে নিজের যৌনসঙ্গীর সঙ্গে বিশদে আলোচনা করুন। প্রয়োজনে দেখা করুন চিকিৎসকের সঙ্গে। মনে রাখবেন, ইচ্ছা থাকলে উপায় আবিষ্কার করা শুধু সময়ের অপেক্ষা।

আরএম-২৪/১৯/০৩ (লাইফস্টাইল ডেস্ক, তথ্যসূত্র: এই সময়)