চুলপড়া রোধে কয়েকটি আয়ুর্বেদীয় টিপস

চুলপড়া রোধে

আপনার কী চুল পড়ে? এটি এমন এক ভয়াবহ দৃশ্য যা প্রয়োজন হলেও আপনি চুল ব্রাশ করা থেকে বিরত থাকেন। এটি কেন ঘটছে তা নিরূপণ করা কিন্তু মোটেও কঠিন নয়। এ নিয়ে অনেক ধরনের ওষুধ এবং সেসব ওষুধের পেছনে টাকাও ঢালছেন কম নয়। তবু চুলপড়া বন্ধ হচ্ছে না। এ ক্ষেত্রে আয়ুর্বেদীয় পদ্ধতি অত্যন্ত কার্যকরী।

আয়ুর্বেদীয় চিকিৎসা শাস্ত্রে রয়েছে চুলপড়া রোধ করার উপায়। এতে অর্থও খরচ হয় কম। নিচে আয়ুর্বেদীয় চিকিৎসা অনুযায়ী পাঁচ প্রতিকার তুলে ধরা হলো :

১। ভ্রিংরাজ

চুলপড়া বন্ধে এই ঔষধি ব্যবস্থাকে মনে করা হয় সবচেয়ে কার্যকরী। এটি চুলকে শক্ত করে এবং চুলের ধূসর রং দূর করতে সহায়ক। এ ছাড়া এর তেল প্রয়োগ করলে মাথায় চুল গজাতে সাহায্য করে এবং চুলপড়া রোধ করে।

পদ্ধতি: প্রথমে কিছু শুকনো ভ্রিংরাজও নিন। এতে কিছু পানি মেশান। এরপর মিশ্রণটি চুলের গোড়ায় প্রয়োগ করুন। এটি আপনার চুলের গোড়া শক্ত করবে।

২। আমলা

চুলপড়া রোধের প্রসঙ্গে আমলার উল্লেখ না করলেই নয়। এই ফলের ভিটামিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট চুলকে স্বাস্থ্যকর ও উজ্জ্বল করে। এটি চুলের গোড়া শক্ত করে এবং চুলের ধূসরতা দূর করতে সহায়তা করে। এসব সুবিধা পেতে নিয়মিত পান করতে পারেন আমলার জুস অথবা চুলে প্রয়োগ করতে পারেন আমলার তেল। আপনি আমলা ও হেনা দিয়ে মিশ্রণ তৈরি করেও প্রয়োগ করতে পারেন চুলে।

পদ্ধতি: শুকনো আমলা গুঁড়ো করে এর সঙ্গে হেনা ও দইয়ের মিশ্রণ তৈরি করে প্রয়োগ করুন চুলে। দুই ঘণ্টা রেখে ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। এরপর চুলের গোড়া শক্ত করতে আমলা ও লেবুর রসের মিশ্রণ চুলের গোড়ায় প্রয়োগ করতে পারেন।

৩। নিম

ত্বকের সমস্যা ও চুলপড়া রোধে একটি চমৎকার আয়ুর্বেদীয় ব্যবস্থা নিম। এটি নিয়মিত ব্যবহারে চুলের গোড়া শক্ত করে এবং মাথার রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে। খুশকি, উকুন- এই সব সমস্যা সমাধান করে। এ ছাড়া চুলের শুষ্কতা কিংবা হোক একজিমা- নিম এসবের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। এ ক্ষেত্রে নিম পাতার পেস্ট তৈরি করে তা মাথায় প্রয়োগ করতে পারেন।

অন্য পদ্ধতি: একমুঠো নিমপাতা পানিতে ফোটান। ঠাণ্ডা হলে মাথায় প্রয়োগ করুন। দুই ঘণ্টা পর পানিতে ধুয়ে ফেলুন। এ পদ্ধতি সপ্তাহে তিন দিন প্রয়োগের চেষ্টা করুন।

আরএম-১৬/২৬/০৩ (লাইফস্টাইল ডেস্ক, তথ্যসূত্র: এনডিটিভি)