এই সিলিন্ডার কিভাবে ব্যবহার করতে হয়? সে বিষয়ে ধারণা নেই অনেকেরই, জেনে নিন

এই সিলিন্ডার কিভাবে

সুপার শপ, রেস্টুরেন্ট কিংবা অফিসে চোখে পড়ে ছোট্ট লাল সিলিন্ডার। যার ভেতরে থাকা উপাদান আগুন নেভাতে সাহায্য করে। আপনার মতো এমনটাই জানেন সবাই। তবে এই সিলিন্ডার কিভাবে ব্যবহার করতে হয়? সে বিষয়ে ধারণা নেই অনেকেরই।

আগুন কেমন হতে পারে

আগুন বিভিন্ন ধরনের হতে পারে। জেনে নিন কোন আগুন কিভাবে নেভাতে হয় –

Class A – দৈনন্দিন ব্যবহৃত যে কোনো দাহ্য বস্তু যেমন- কাঠ, কাগজ, কাপড়ের আগুন এই শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত। এই ধরনের আগুন সাধারণত পানি অথবা শুকনো কেমিক্যাল পাউডার দিয়ে নেভানো হয়।

Class B – দাহ্য তরল এবং দাহ্য গ্যাস যদি আগুনের উৎস হয়। যেমন: তেল, গ্যাসোলিন, পেইন্ট ইত্যাদি। এই ধরনের আগুন শুকনো কেমিক্যাল পাউডার অথবা ফোম দিয়ে নেভানো হয়।

Class C – যে কোনো ইলেকট্রিক্যাল ইকুপমেন্ট যেমন- জেনারেটার/মোটর, ট্রান্সফর্মারের আগুন এই শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত। এই ধরনের আগুনে কখনোই পানি ব্যবহার করা যাবে না। কারণ পানি তড়িৎ পরিবাহী। পানি ব্যবহার করলে তড়িতাহত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এক্ষেত্রেও শুকনো কেমিক্যাল পাউডার বা কার্বন ডাই অক্সাইড ব্যবহার হয়ে থাকে।

Class D – দাহ্য ধাতু যেমন সোডিয়াম, পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, অ্যালুমিনিয়ামের আগুন এই শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত। এক্ষেত্রে বিশেষ ধরনের অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থার প্রয়োজন হয়।

Class K – রান্নার তেল, ভেজিটেবল অয়েল অথবা গ্রিজ যদি আগুনের উৎস হয়। এজন্য ওয়েট কেমিক্যাল বা ওয়াটার মিক্স এক্সটিংগুইসার ব্যবহার করা হয়।

দৈনন্দিন জীবনে সাধারণত Class-A অথবা Class-B ধরণের আগুন নেভানোর বেশি প্রয়োজন হয়। বর্তমানে যেসব শুকনো কেমিক্যাল এক্সটিংগুইসার ব্যবহার করা হয় সেগুলো Class-A, Class-B, Class-C তিনক্ষেত্রেই ব্যবহার করা যায়।

আরএম-০৫/৩১/০৩ (লাইফস্টাইল ডেস্ক)