সতেজ ও মসৃণ ত্বক লাভের প্রাকৃতিক কিছু উপায়

সতেজ ও মসৃণ

ত্বক মসৃণ রাখার জন্য কতজন কত কী ব্যবহার করেন! অনেকেই বাজার থেকে নানা ধরনের পণ্য কিনে এনে ত্বকে ব্যবহার করেন। অনেকের ধারণা, যত নামিদামি ব্র্যান্ডের প্রসাধনী হবে, ততই বুঝি কাজে আসবে। কিন্তু কেমিক্যালযুক্ত এই পণ্যগুলো সাময়িকভাবে ত্বক পরিষ্কার এবং উজ্জ্বল রাখলেও পরবর্তীতে এর প্রভাব দেখা যায়।

অথচ আমাদের আশেপাশেই রয়েছে এমন কিছু প্রাকৃতিক উপাদান, যা ব্যবহারে ত্বক থাকবে সতেজ ও মসৃণ। এগুলো বিদেশি পণ্যের তুলনায় যেমন দামে সস্তা, ঠিক তেমনিই ত্বকের জন্য ভালো।

নারিকেল তেল

সহজেই আমাদের হাতের নাগালে পাওয়া যায়, এই গুণসম্পন্ন উপাদানটি শুধু চুলের যত্নের জন্য নয়, এমনকি আমাদের ত্বকের জন্যও খুবই উপকারী। নারিকেল তেলের মধ্যে থাকে এন্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান যা রোদের পোড়া দাগ এবং মুখে ভাজ পড়া রোধ করে। এছাড়া মেকআপ রিমুভার হিসেবেও নারিকেল তেল ব্যাবহার করা যায়।

অ্যাপেল সিডার ভিনেগার

অ্যাপেল সিডার ভিনেগারে রয়েছে কিছু চমৎকার ব্যবহার যা আপনার মুখের দাগ, ত্বকের ভাজ এমনকি অ্যাকনি থেকে মুক্ত রাখবে।

অ্যালোভেরা 

ত্বকের যত্নে অ্যালোভেরা বা ঘৃতকুমারীর কোনও তুলনা হয় না। বারান্দায় কিংবা বাগানে লাগানো যায় এই গাছ। আর বাজারেও বিক্রি হয় এই পাতার। ব্রণ, অ্যাকনি কিংবা যেকোনও দাগ দূর করে অ্যালোভেরা। অ্যালোভেরা পাতার ভেতর থেকে জেল বের করে তার মধ্যে গোলাপজল মিশিয়ে ব্যবহার করলে আপনার ত্বক থাকে উজ্জ্বল ও মসৃণ।

গোলাপজল

মার্কেটে বিভিন্ন ধরনের গোলাপজল পাওয়া যায়। কিন্তু সব থেকে ভালো যদি এই গোলাপজল ঘরে তৈরি হয়। একটি পাত্রে ৩ কাপ পানি এবং গোলাপের পাপড়ি দিয়ে ফুটিয়ে নিন। পানি ভালভাবে ফুটে উঠলে ঠাণ্ডা করে একটি বোতলে সংরক্ষণ করুন। টোনার, ফেসপ্যাক কিংবা শুধু মুখ ধোয়ার জন্য এই জল ব্যবহার করতে পারেন।

শসা

আমাদের ত্বকের যত্নের জন্য শসা খুবই উপকারী। গরমের দিনে ত্বকে অনেক ময়লা জমে যায়। তাই বাইরে থেকে ঘরে ফিরে শসা মুখে ঘষলে উঠে যাবে সব ময়লা।

আরএম-০৭/২৫/০৪ (লাইফস্টাইল ডেস্ক)