প্রাকৃতিক নানা দুর্যোগ আমাদের জীবনযাপনে প্রভাব তো ফেলেই, এমনকি এর চিহ্ন রেখে যায় আমাদের শরীরেও। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে হঠাৎ আসা ঝড়-বৃষ্টি হতে পারে আপনার ত্বকের ক্ষতির কারণ। ঝড়ের ধুলো বা বৃষ্টি থেকেও ত্বকে র্যাশ, চুলকানি বা অ্যালার্জি হয়। ঘূর্ণিঝড়ের সময়ে ও এর পরে বাতাসে প্রচুর পরিমাণে ধুলো ছড়িয়ে পড়ে। এর মধ্যে বিভিন্ন প্রকারের রাসায়নিকের কণা ঘুরে বেড়ায়।
বিভিন্ন জিনিসপত্র বা পুরনো বাড়ি ইত্যাদি ভেঙে তার গুঁড়া বাতাসের ধুলোর সঙ্গে মিশে মানুষের ত্বকের সংর্স্পশে এলে অ্যালার্জি হয়। সংক্রমণ ঘটে। বাতাসের সঙ্গে ভেসে আসা রাসায়নিকের কারণে যে অ্যালার্জি হয় তাকে এয়ার বার্ন অ্যালাজি বলা হয়।
বৃষ্টির পরে জমে থাকা পানি ত্বকের সমস্যার অন্যতম কারণ। জমে থাকা নোংরা পানি পায়ে লাগলে ইনফেকশন র্পযন্ত হতে পারে। এক্ষত্রে মেনে চলতে হবে কিছু নিয়ম-
ঝড়ের মধ্যে রাস্তায় না বেরনোই ভালো। কারণ এই সময়ে ধুলোর নাকে-মুখে লেগে বিভিন্ন অ্যালার্জি হতে পারে। আর ঝড়ের পরেও যতটা সম্ভব ঢাকা পোশাক পরতে হবে। নাকে প্রয়োজনে মাস্ক পরে বের হতে হবে।
আশেপাশে গাছপালা বা বাড়ি ভেঙে পড়লে তার সংর্স্পশে না যাওয়ার চেষ্টা করুন। এর থেকেও ত্বকে সমস্যা হতে পারে।
ত্বকের সংক্রমণ দেখা দিলে ঝড় পড়েও জানলা-দরজা বন্ধ করে রাখুন যাতে ধুলো না ঢুকতে পারে। অনেক সময় বাতাসে ঝড়ের জীবাণু থেকেই যায়।
পায়ে নোংরা পানি বা কাদা লাগলে বাসায় ফিরে পা ধুয়ে হালকা গরম পানিতে পা ডুবিয়ে রাখুন। নখের ভিতরে নোংরা জমছে কি না দেখে ভালো করে পরিষ্কার করুন। নয়তো ফাঙ্গাস হওয়ার ভয় থেকে যায়।
চিকিৎসকের পরামর্শ না নিয়ে নিজের ইচ্ছামতো ওষুধ খাবেন না, কোনো মলমও ব্যবহার করবেন না। অনেক মলম ও ওষুধে স্টেরয়েড থাকে। সেসব এড়িয়ে চলুন।
আরএম-০৮/০৪/০৫ (লাইফস্টাইল ডেস্ক)