বিবাহিত রমণীদের তাঁদের অধিকার সম্পর্কে এই তথ্যগুলি জানা উচিত

বিবাহিত রমণীদের

বিয়ের পর একাধিক বধূ নির্যাতনের তথ্য মেলে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আজ পর্যন্ত বধূ নির্যাতনের সংখ্যা কমার কোনও লক্ষণ নেই। বহু ক্ষেত্রেই বিবাহিত মহিলারা সঠিকভাবে আইন না জানায় লড়াই ছেড়ে দেন। কিন্তু, এমন কিছু বিষয় আছে যেগুলি জেনে নিলে সমস্যা অনেকটাই কমে যেতে পারে।

সংবিধানে দেওয়া এই ৬টি জিনিসই বিবাহিত মহিলাদের সবসময়ে মাথায় রাখা দরকার—

স্ত্রীধনের অধিকার— এতে বিয়ের আগে বা পরে কোনও উপহার বা জিনিস স্ত্রী পেলে সেটা তাঁরই। শ্বশুরবাড়ির কেউ যদি এতে কব্জা করে থাকে তাহলে সেটা বেআইনি। স্ত্রীধন বলে বর্ণিত এই অধিকারে বলা হয়েছে, অর্থ হোক বা উপহার, যা বউকে সামনে রেখে মিলবে তাতে শুধুই স্ত্রীর অধিকার।

স্বামীর ঘরে বসবাসের অধিকার— স্বামী যেখানে বাস করবে সেখানে তাঁর সঙ্গে বাস করাটা একজন গৃহবধূর এক্কেবারে আইনসিদ্ধ অধিকার। পৈতৃক ভিটে হোক বা যৌথ পরিবারের ভিটে স্বামী যদি সেখানে বাস করেন তাহলে স্ত্রীও সেখানে বাস করবেন। স্ত্রীকে কক্ষণই বাড়ি থেকে স্বামী বের করে দিতে পারেন না।

বিবাহিত পুরুষের অন্য সম্পর্কের কোনও বৈধতা নেই— বিয়ের পর স্বামী কখনই অন্য কোনও সম্পর্কে জড়াতে পারেন না। যতক্ষণ পর্যন্ত তাঁর স্ত্রী বিদ্যমান ততক্ষণ পর্যন্ত কোনও ধরনের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক অপরাধ বলেই গণ্য হয়। এক্ষেত্রে স্ত্রী বিবাহ-বিচ্ছেদ চাইলে তা আইনসিদ্ধ অধিকার।

আত্মমর্যাদা ও আত্মসম্মানের সঙ্গে বাঁচার অধিকার— বিয়ে হয়ে গিয়েছে মানেই স্ত্রী-র কোনও আত্মসম্মান বা আত্মমর্যাদা থাকবে না— এটা কখনই সত্য নয়। শ্বশুর বাড়িতে গৃহবধূকে সেই সম্মান এবং আত্মমর্যাদা দেওয়াটা আইনি বাধ্যবাধকতা। শ্বশুর-শাশুড়ি এবং স্বামী যে ধরনের জীবন-যাপন করবেন তার থেকে কোনওভাবেই নিচু জীবনযাত্রা পালনে স্ত্রীকে বাধ্য করা যায় না।

স্ত্রীকে লালন-পালনে বাধ্যবিয়ের পর থেকে স্ত্রী-র সব দায়িত্ব স্বামীর। স্ত্রী-কে ভাল রাখা, সুখে রাখাটাও স্বামীর কর্তব্যের মধ্যে পড়ে। স্ত্রীর এই অধিকার আইনত সিদ্ধ।

সন্তান প্রতিপালনে বাধ্য স্বামী— সন্তানকে স্ত্রী-র ঘাড়ে গচ্ছিত করে কখনও পালিয়ে যেতে পারেন না স্বামী। সংবিধানে এক গৃহবধূকে যে অধিকার দেওয়া হয়েছে, তাতে স্ত্রীর সঙ্গে সঙ্গে সন্তান প্রতিপালনের দায়িত্বও স্বামীর।

আরএম-২৩/০৫/০৫ (লাইফস্টাইল ডেস্ক)