তাপমাত্রার পারদ ক্রমশ উর্দ্ধমুখী। আর তার সঙ্গেই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ঘামাচির সমস্যা। এই সমস্যা থেকে নিস্তার পেতে অনেকেই বাজার চলতি পাউডার বা লোশন ব্যবহার করেন। তবে চিকিত্সকদের মতে, ঘামাচির সমস্যা দূর করতে এ সবের চেয়ে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকাটা বেশি জরুরি।
ঘামাচির হাত থেকে বাঁচতে পাউডার মাখলেও পরদিন অবশ্যই শরীরের ওই অংশ জল দিয়ে ভাল করে ধুয়ে ফেলুন। কারণ, পাউডারের গুঁড়োয় ত্বকের লোমকূপের ছিদ্রগুলি বন্ধ হয়ে গেলে ব্রণ, ফুসকুড়ি-সহ আরও নানা সমস্যা মাথা চাড়া দিতে পারে।
ঘামাচির সমস্যার মোকাবিলায় বরফ অত্যন্ত কার্যকরী। একটি পরিষ্কার পাতলা কাপড়ে মুড়ে বরফের টুকরো ঘামাচি আক্রান্ত ত্বকের উপর ৮-১০ মিনিট ঘষুন। এর ফলে ঘামাচি মরে গিয়ে ত্বকের জ্বালা, চুলকানি ভাব অনেকটাই কমিয়ে দেবে।
মুলতানি মাটি আর গোলাপ জল— ত্বকের জন্য এই দু’টি উপাদান খুবই উপকারী। ঘামাচির অস্বস্তি কমাতে আন্দাজ মতো মুলতানি মাটির সঙ্গে আধা কাপ গোলাপ জল মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করে নিন। এই পেস্ট ঘামাচি আক্রান্ত ত্বকের উপর ভাল করে মাখিয়ে দিন। শুকিয়ে গেলে জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন, ত্বকের জ্বালা, চুলকানি ভাব অনেকটাই কমে গিয়েছে। দু’-তিন দিন এই পদ্ধতি কাজে লাগাতে পারলে ঘামাচির সমস্যা থেকে নিস্তার পাওয়া যাবে।
ত্বকের পরিচর্যায় বেসন অত্যন্ত কার্যকরী একটি উপাদান। এক কাপ বেসনের সঙ্গে আন্দাজ মতো জল মিশিয়ে একটি পেস্ট বানিয়ে নিন। এই পেস্ট ঘামাচি আক্রান্ত ত্বকের উপর ভাল করে মাখিয়ে দিন। মিনিট পনেরো পর ঠাণ্ডা জলে ভাল করে ধুয়ে ফেলুন। এই পদ্ধতি পর পর দু’-তিন দিন কাজে লাগাতে পারলে ঘামাচির সমস্যা থেকে সহজেই নিস্তার পাওয়া যাবে।
আরএম-০৫/০৮/০৫ (লাইফস্টাইল ডেস্ক, তথ্যসূত্র: জিনিউজ)