বেশিরভাগ স্ত্রীর একটা খুব কমন অভিযোগ থাকে তাদের স্বামীর প্রতি- তারা মোটেই শপিংয়ে যেতে আগ্রহী নন! তাই নানা ফন্দি ফিকির করে নিয়ে যেতে হয় শপিংয়ে। অনেকসময় টাকা-পয়সা কিংবা ক্রেডিট কার্ড ধরিয়ে দিয়ে রেহাই পান তারা। কিন্তু স্বামীকে সঙ্গে নিয়ে পছন্দের জিনিসটি কিনতে ইচ্ছে হতেই পারে।
এদিকে মেয়েরা একই জিনিস অনেকগুলো দোকান ঘুরে কিনতে পছন্দ করে। এরপর আসে দরদামের বিষয়। মেয়েরা এই কাজটিও ভীষণ ধৈর্যের সঙ্গে করে থাকে। কিন্তু এই বিষয়গুলোই অনেক পুরুষকে শপিংয়ে যেতে অনাগ্রহী করে তোলে। তাই যদি চান স্বামীর সঙ্গে ঘুরে ঘুরে শপিং করতে, তবে মেনে চলুন এই বিষয়গুলো-
পরিকল্পনা করে নিন
আপনি নানা দোকানে ঘুরে নানারকম জিনিসপত্র দেখছেন আর উনি বোর হচ্ছেন! আসলে দ্রুত শপিং সেরে ফেলতে ভালো লাগে না, মনে হয় আর একটু দেখি! কিন্তু তার সঙ্গে যেদিন শপিং করতে বের হবেন, সেদিনটা একটু দ্রুত সারার চেষ্টা করুন। মনে মনে পরিকল্পনা করে নিন আপনার কী কী কেনার আছে আর কোথা থেকে কিনবেন। কেনাকাটার তাড়াতাড়ি সেরে ফেলতে পারলে পরে আর উনি শপিংয়ে যেতে আপত্তি করবেন না বলেই মনে হয়।
শুধু নিজের জন্য নয়
স্বার্থপরের মতো কেবল নিজের জন্য শপিং করে গেলে চলবে না। তার কী কী লাগবে সেটাও জিজ্ঞেস করে নিন, তার জিনিসপত্র কেনাতেও সময় দিন।
বিরতি নিন
একটানা ঘোরাঘুরি করলে একঘেয়েমি, বিরক্তি আসার আশঙ্কা প্রবল। অনেকক্ষণ ধরে কেনাকাটার পরিকল্পনা থাকলে মাঝেমাঝে রেস্তোরাঁ, কফিশপে বিরতি নিতে পারেন।
শপিংব্যাগ ভাগ করে নিন
সবগুলো প্যাকেট তার হাতেই চাপিয়ে দেবেন না যেন! প্যাকেটের ওজন বুঝে মোটামুটি সমানভাবে দু’জনে ভাগ করে নিন।
আরএম-১৩/০৮/০৫ (লাইফস্টাইল ডেস্ক)