যে ৬ ধরনের প্রতারণা পুরুষরা সব সময় করে থাকেন

যে ৬ ধরনের প্রতারণা

কোনো সম্পর্কে বসত করে ভালোবাসা আবার কোনো সম্পর্কের করুণ পরিণতি হয় প্রতারণায়। নারী-পুরুষ উভয়ই প্রতারণা করলেও প্রতারক হিসেবে পুরুষরাই এগিয়ে। কত ধরনের প্রতারণা করতে পারেন পুরুষরা? সম্প্রতি এমন একটি জরিপের ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। জেনে নিন এবং সাবধান হয়ে যান। তবে মনে রাখবেন, সব পুরুষই কিন্তু প্রতারক নন।

১. সে আপনার কাছে সব সময় চোরের মতো থাকবে। নিজেকে লুকিয়ে রাখবে। আপনার ফোন নিয়ে ঘাঁটাঘাটি করলেও ভুলেও তার ফোন আপনি হাতে পাবেন না। যদি পেয়েও থাকেন তবে দেখবেন যে মেসেজ কিংবা মেসেঞ্জার ইনবক্স খালি কিংবা তার কোনো বন্ধুর মেসেজও নেই। সে আপনার ফেসবুকের পাসওয়ার্ড চাইবে। কিন্তু তার ইনবক্স চেক করলে সেখানে কিছুই পাবেন না। তখনই সাবধান হবেন, কারণ এটা অস্বাভাবিক।

২. সে আপনাকে ঘন ঘন চমকে দেওয়ার চেষ্টা করবে। তারপর আপনার অপ্রস্তুত অবস্থার সুযোগ নিয়ে বিভিন্নভাবে স্পর্শ করার চেষ্টা করবে। নিমিষেই ‘সরি’ বলে ফেলবে! সম্পর্কের শুরুতেই সে আপনার শরীর চাইবে। কোনো নির্জন স্থানে নিতে চাইবে। হতে পারে সেটা তার নিজের বাসা অথবা বন্ধুর বাসা। যেকোনো অবস্থার ছবি তুলতে চাইবে। তারপর আপনার জন্য কয়েকটা গিফট আর রেস্টুরেন্টে খাওয়ানো ছাড়া আর কিছুই করবে না। বরং আবেগ দিয়ে বশ করে আপনার মন জয়ের চেষ্টা করবে। একসময় বিভিন্ন অজুহাতে টাকা-পয়সা ধার চাইবে। এই লেখা পড়ার পরও আপনি ভাববেন যে সে টাকা পয়সার দিক দিয়েও আপনাকে ঠকাবে না?

৩. যদি সে ডেটিংয়ে ঠিক সময় না আসে এবং ভুলে যাওয়ার অজুহাত দেয় তবে সে একটা প্রতারক ছাড়া আর কিছুই না। কারণ ভালোবাসা এমন একটা অনুভূতি যার ফলে একজন অন্যজনের একটু দেখা পাওয়ার জন্য পাগল থাকে। ভুলে যাওয়ার তো প্রশ্নই আসে না। এরপর সে হয়ত আপনাকে ভোলাতে কোনো রেস্টুরেন্ট কিংবা শপিংয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দেবে। কিন্তু ভুলেও ও পথে পা বাড়াবেন না।

৪. সে আপনাকে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করবে। আপনি কোথায় যান, কার সঙ্গে মেশেন, কী পোশাক পরবেন এমনকী বাসা থেকে বের হওয়ার ওপরও সে নিয়ন্ত্রণ আরোপের চেষ্টা করবে। এমনটা হলে মোটেও গলে যাবেন না। বরং তার সম্পর্কে খোঁজ-খবর নিন। কারণ, যে নিজে অপরাধ করে তার ভয় বেশি থাকে। আচরণ স্বাভাবিক মনে না হলে সম্পর্ক বাদ দিন। কারণ আপনার জীবনটি একান্তই আপনার নিজের। সেটা নিজের মতো করে সাজিয়ে নিন।

৫. সে নিজেকে আপনার কাছে গোপন রাখার চেষ্টা করবে। ডুয়েল সিমের একাধিক সেট থাকলেও আপনি মাত্র তার একটি নম্বর পাবেন। আপনাকে ‘ভালোবাসি’ বলার পরও তার ফেসবুক রিলেশনশিপ স্ট্যাটাস ‘সিঙ্গেল’ থাকবে এবং তা পাবলিক করা থাকবে। সে আপনাকে তার সঠিক ঠিকানা, প্রতিষ্ঠানের ঠিকানা দিতে নানা অজুহাত দাঁড় করাবে। কথায় কথায় মিথ্যে বলবে; আর ধরা পড়লে ‘সরি’ কিংবা হেসে উড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবে। এমনটা হলে আবেগের জোয়ারে না ভেসে কেটে পড়ুন।

৬. বয়ফ্রেন্ড যদি মা-ন্যাওটা হয় তবে আরেক সমস্যা। আমাদের উপমহাদেশীয় সমাজে বাড়িতে বউ এলে শ্বাশুড়ি তার ওপর মানসিক এমনকী শারীরিক নির্যাতন শুরু করে। কেন করেন সেটা শ্বাশুড়িগণ নিজেরাও জানেন না। যদিও অনেক পরিবার এই সমস্যা থেকে বের হয়ে আসছে তবে পুরোপুরি দূর হয়নি। তাই বয়ফ্রেন্ড মা-ন্যাওটা হলে সাবধান হন। কারণে শ্বাশুড়ি আপনার সঙ্গে অন্যায় করলেও সে প্রতিবাদ করতে পারবে না। বলতে পারেন সে নিজের মায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করবে কেন? এটা কি তাকে অসম্মান করা নয়? পাল্টা প্রশ্ন করা যায়, একজন মা কেন অন্য কারও সন্তানের ওপর অন্যায় আচরণ করবেন যে তার ছেলের বউ? বয়ফ্রেন্ড তার মায়ের অন্যায়কেও সঠিক বলে ঘোষণা করলে শিগগিরই কেটে পড়ুন। কারণ বিয়ের পর আপনার কপালে দুঃখ আছে।

আরএম-১৬/১৫/০৫ (লাইফস্টাইল ডেস্ক)