এ বর্ষায় যত্নে থাকুক ‘পা’

এ বর্ষায় যত্নে

চলে এসেছে বর্ষাকাল। সেই সাথে এসেছে জলাবদ্ধতা, প্যাচপেচে কাদা আর স্যাঁতসেঁতে ভাব। কিন্তু কর্মব্যস্ত জীবনে এসব থেকে বাঁচার কোনো উপায় নেই বললেই চলে। ছাতা এবং রেইনকোট দিয়ে মাথা তো বাঁচালেন! কিন্তু পা?

বর্ষাকালে নোংরা পানিতে পা ভিজলে সেখান থেকে ফুসকুড়ি ও চুলকানির মতো নানা রকমের চর্মরোগ হতে পারে। তাই বছরের এ সময়টাতে বেশি করে পায়ের খেয়াল রাখতে হবে।

কাদা-পানি পা ও নখের জন্য খুবই ক্ষতিকর। তাই আসুন জেনে নেয়া যাক বৃষ্টির নোংরা পানিতে ভেজার পরও কীভাবে পা সুস্থ ও সুন্দর রাখা যাবে-

বাইরে থেকে ঘরে ফিরে প্রথমেই সাবান দিয়ে ভালো করে পা ধুয়ে ফেলুন। নখের কোনা, গোড়ালি, আঙুলের খাঁজ ভালো করে পরিষ্কার করতে হবে, যাতে কোনো ময়লা না লেগে থাকে।

ব্যস্ততার মাঝে তো রোজ আর পার্লারে যাওয়া সম্ভব না, তাই সপ্তাহে দুবার গরম পানিতে শ্যাম্পু দিয়ে পা ২০ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন। পরে তা ধুয়ে ফেলুন।

অনেকেই নখ বড় রাখতে পছন্দ করেন। তবে বর্ষায় নখ ছোট রাখাই ভালো। আর বড় নখ রাখলে তা ব্রাশ দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে।

এ সময় অনেকের পায়েই কালো কালো ছোপ পড়তে দেখা যায়। এ সমস্যা থেকে বাঁচতে মসুর ডাল বাটা, দুটি আমন্ড বাটা, দুধ এবং এক চা চামচ গ্লিসারিন দিয়ে মিশ্রণ বানিয়ে নিন। পায়ে লাগিয়ে রাখুন, শুকিয়ে গেলে ভালো করে ঘষে তুলে ফেলুন। তারপর হালকা গরম পানিতে পা ধুয়ে ভালোভাবে পরিষ্কার কাপড় দিয়ে মুছে নিন।

পায়ের সঠিক যত্ন করতে হলে পায়ের বিভিন্ন অংশের জন্য আলাদাভাবে যত্ন করা দরকার। গোড়ালির অংশটা সাধারণত বেশি শুকনো হয়, তাই এ অংশে ময়েশ্চারাইজার লাগানো উচিত। পায়ের আঙুলের খাঁজের অংশগুলো ভালো করে মুছে অ্যান্টি-ফাঙ্গাল পাউডার ব্যবহার করতে হবে।

বর্ষায় পায়ের যত্নে জুতো সঠিক নির্বাচন করতে হবে। এ সময় কাপড়ের জুতো এবং বন্ধ জুতো ব্যবহার না করাই ভালো। জুতো ভিজে গেলে পরের দিন খোলা হাওয়ায় রেখে শুকিয়ে নিয়ে তারপর পরতে হবে। তাতে ব্যাকটেরিয়া জন্মাতে পারবে না। বর্ষায় অন্তত দুই জোড়া জুতো রাখা বুদ্ধিমানের কাজ। ভেজা জুতো কখনই না শুকিয়ে পরের দিন পরতে যাবেন না।

বর্ষার এ সময়টাতে উপরের বিষয়গুলো মেনে চললে পা থাকবে সুস্থ ও সুন্দর আর আপনি বর্ষাও উপভোগ করতে পারবেন অন্যসব ঋতুর মতন।

আরএম-০১/১২/০৭ (লাইফস্টাইল ডেস্ক)