সঙ্গীকে বার্তা পাঠানোর সময় যে ভুলগুলো করবেন না

সঙ্গীকে বার্তা

সঙ্গীর সঙ্গে ইচ্ছা হলেই এখন যোগাযোগ করা যায়। হাতে মোবাইল থাকলে মেসেঞ্জারে গল্প, কিংবা টুকটাক টেক্সট। আর এসব কাজের অনেকটাই জুড়ে আছে প্রেমিক বা প্রেমিকার সঙ্গে কথোপকথন। মেসেজ ও হোয়াটসঅ্যাপ সম্পর্কে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আর এখানেই আমরা করে ফেলি হরেক রকমের ভুল।

সদ্য শুরু করা প্রেম হোক বা কয়েক বছরের স্থায়ী সম্পর্ক, যুগলের মেসেজেও মাথায় রাখতে হয় বেশ কিছু বিষয়। অনেকেই ভাবেন, ভালোবাসার মানুষকে কিছু লিখছি মানে, যা-ই লিখি, যেটুকুই ভুলত্রুটি তিনি তা আমল দেবেন না।

বিষয়টা কিন্তু তেমন নয়। সব সম্পর্কের মতোই প্রেমের সম্পর্কও স্পর্শকাতর। ভালোবাসার মানুষটির মন-মেজাজ, ব্যস্ততা একেবারেই সাধারণ ও স্বাভাবিক বিষয়। প্রেমে পড়েছেন বলেই, উল্টো দিকের মানুষটির সব ভুলত্রুটি কোনো সময়ই তাকে প্রভাবিত করবে না, এমন ধারণা ঠিক নয়।

তাই বলে সারাক্ষণ সতর্ক হয়ে, মাথা খাটিয়ে আবেগের কথা বলতে হবে না। মানুষটি আপনার জীবনে পুরনো হোক বা নতুন, মেসেজ করতে হলে শুধু মনে রাখুন বিশেষ কিছু নিয়ম। তাতে আবেগের ঘরে চুরি হবে না একেবারেই।

টেক্সটে হাসি-মশকরা করতেই পারেন। হালকা রসিকতাও চলে। তবে মেসেজে মানুষের মুখ দেখা যায় না বলে বোঝা যায় না কথাটি বলার সময় তার অভিব্যক্তি কেমন ছিল।

সে কারণে অনেক সময় রসিকতার টেক্সটও ভুল বার্তা দেয়। উল্টো দিকের মানুষটির মেজাজের ওপরও নির্ভর করে ওই মুহূর্তে তিনি আদৌ ঠাট্টা বোঝার অবস্থায় আছেন কিনা। সেজন্য ফোনে এমনটা করতে চাইলে অবশ্যই সাবধান থাকুন। দরকারে ঠাট্টার ইমোজি ব্যবহার করতে পারেন।

প্রেম নতুন হোক বা পুরনো, উল্টো দিকের মানুষটার ব্যস্ততার কথা মাথায় রেখেই টেক্সট করা ভালো। তাছাড়া কাজ না থাকলেও সারাক্ষণ টেক্সট বা মেসেজ করে যাওয়াটা খুব একটা কাজের কথা নয়। অফিসের সময় বা কোনো ক্লাসে থাকার সময় বার বার টেক্সট করা উচিত নয়।

প্রেম অল্পদিনের হলে আরো বিষয়ে সতর্ক থাকা দরকার। ইঙ্গিতপূর্ণ কথা, শারীরিক সম্পর্ক ঘেঁষা কথা, চটুল ও লঘু রসিকতা এ ক্ষেত্রে না বলাই ভালো।

বানান ভুল বা বাক্যগঠনের ভুলের দিকে নজর দিন। উল্টো দিকের মানুষটার কাছে আপনি যতো গুরুত্বপূর্ণই হন না কেন, ভুল বানান ও বাক্য পড়তে খুব একটা ভালো লাগে না। ভুল ইমোজি ব্যবহার করার দিকেও সচেতন হন। নইলে বলতে চাইবেন এক রকম, বোঝাবে আরেক রকম।

সঙ্গীর অপ্রিয় প্রসঙ্গ বা দ্বিধা রয়েছে এমন বিষয় নিয়ে টেক্সটে কথা বলবেন না। ওগুলো একান্তই এড়ানো না গেলে তুলে রাখুন মুখোমুখি সাক্ষাতের সময়ের জন্য।

আরএম-১৪/৩০/০৭ (লাইফস্টাইল ডেস্ক)