যে সব কথা ভুলেও পার্টনারকে বলবেন না

যে সব কথা

বিবাহিত জীবন ‘পারফেক্ট’ কিসে হয়? এ মোক্ষম প্রশ্নের জবাব দুনিয়ার কোনও রুলবুকে নেই। সংসার জীবন অনেকটাই ক্রিকেট ম্যাচের মতো। কোন বল ছাড়ব আর কোন বল মারব সে হিসেব গুলিয়ে গেলেই ভেস্তে যেতে পারে শান্তি। তাই সঙ্গীর কাছে সৎ থাকতে হবে তো বটেই কিন্তু ছোটখাট অশান্তি এড়াতে কী কী বলা উচিত হবে না সেটা জানাও খুব জরুরি।

বিডি২৪লাইভের পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো যে সব কথা ভুলেও পার্টনারকে বলবেন না।

১. বিশেষ করে ঝগড়া বা অশান্তির সময় মাথা গরম করে এমন কিছু আমরা বলে ফেলি, যা গড়ায় বহু দূর। হয়তো আজীবন তৈরি হয়ে যায় কিছু ক্ষত। সে সব যে খুব মুছে ফেলা যায় এমনও নয়। তাই খেয়াল রাখুন কিছু বিশেষ কথার সময়।

২. অনেক সম্পর্কের শুরুই খুব মসৃণ হয় না। হয়তো তখনই বিয়েটা করতে প্রস্তুত ছিলেন না আপনি। বাড়ির জোরাজুরিতেই বিয়েটা সারতে হয়েছিল, তবু এ কথা সঙ্গীকে না বলাই ভাল। বিয়েটা করে ফেলার পর এ সব বললে তিনি অপমানিত হতে পারেন। যাঁর সঙ্গে আজীবন সুখে থাকাই লক্ষ্য, তাঁকে ছোট করা বা অমর্যাদা করার প্রয়োজন নেই।

৩. সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কথায় কথায় ভালবাসার ঘোষণা বা প্রেমের বহিঃপ্রকাশ কমতে থাকে অনেক সম্পর্কেই। কোনও বিষয়ে মনান্তর এলে দ্রুত তা মিটিয়ে ফেলুন। একান্তই যদি বোঝেন যে এই সম্পর্ক আর টেনে নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়, তা হলে দু’জনে বসে শালীন ভাবেই কোনও একটা সিদ্ধান্ত নিন। তবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় বিবেচনা করুন আনুষঙ্গিক নানা দিক।

৪. সারা দিনের শ্রম, অফিসের চাপ, বাদুড়ঝোলা হয়ে বাড়ি ফেরার পর সব রাগ গিয়ে পড়ে সঙ্গীর উপর? এই অভ্যাস দ্রুত বদলান। সঙ্গীও সারা দিনের চাপ, শ্রম এগুলো সামলেই বাড়িতে ফেরেন বা বাড়ির নানা কাজেও তাঁকে বিভিন্ন চাপ নিতে হয়। কাজেই এ সব দুর্ব্যহার থেকে সরুন।

৫. কোনও সম্পর্ক তৈরি হলে তা পুরনো সঙ্গীকে জানানোর সৎ সাহস বেশির ভাগেরই থাকে না। এই সাহস থাকলে সঙ্গীকে বুঝিয়ে বলুন ও সৎ ভাবেই প্রথম সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসুন। কিন্তু তা করতে না পারলে নতুন সম্পর্ক ও পুরনো সম্পর্ককে একসঙ্গে কতটা সম্মান করে চলতে পারবেন তা বুঝে এগোন। কিন্তু কোনও ভাবেই আপনার দুর্ব্যবহারের শিকার যেন সঙ্গী না হন।

৬. প্রাক্তন সঙ্গীর সঙ্গে আপনার কোনও শারীরিক সম্পর্ক ঘটে থাকলে, স্বচ্ছ থাকতে তা বর্তমান সঙ্গীকে জানাবেন কি না তা আপনাদের নিজস্ব বোঝাপড়ার বিষয়। কিন্তু সঙ্গীর সঙ্গে কখনওই সেই সম্পর্ক নিয়ে মাতামাতি করবেন না। পূর্বের শারীরিক বা মানসিক সম্পর্ক নিয়ে খুব বেশি আলোচনাও অনুচিত। তা সঙ্গীকে কষ্ট দেয়।

৭. খুব ছোট ছোট বিষয়ে তাঁর সমালোচনা করবেন না। কোনও মানুষই নিখুঁত নয়। তাই সঙ্গী সব কিছুতে ‘পারফেক্ট’ হবেন এমন ধরে নেওয়া বোকামি। কারণ, আপনি নিজেও পারফেক্ট নন।

৮. ঝগড়া বা অশান্তির সময় কথায় কথায় ছেড়ে চলে যাওয়া বা বিচ্ছেদের কথা কখনও বলবেন না। যে কোনও সম্পর্কে এটা খুব অপমানজনক। সঙ্গীকেও চলে যেতে বলা বা সম্পর্ক থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা সরাসরি বললে তিনি অপমানিত হবেন। কাজেই খেয়াল রাখুন সেই দিকটিও।

আরএম-১১/১৬/০৮ (লাইফস্টাইল ডেস্ক)