সামান্য ভুলের কারণেই কম বয়সী নারীকেও বয়স্ক দেখায়

সামান্য ভুলের

অনেক কম বয়সী নারীকেই বিয়ের পর তার বয়সের তুলনায় অধিক বয়স্ক দেখায়। যেখানে ৪০ পেরুলেও একজন নারী থাকতে পারে আকর্ষণীয়, সেখানে অনেক নারীই হয়ে যায় মধ্যবয়সী। আর এর কারণ লুকিয়ে আছে আমাদেরই কিছু ভুলের মাঝে। চলুন, জেনে নেয়া যাক সেই ভুলগুলো সম্পর্কে-

অল্প বয়সে অধিক সন্তানের মা হয়ে যাওয়া

খুব অল্প বয়সে বিয়ে এবং বিয়ের পরেই একাধিক সন্তানের মা হয়ে যাওয়ার ব্যাপারটি এখনো প্রচলিত। প্রথমত, খুব অল্প বয়সে বিয়েটাই নারীর জীবনে হওয়া উচিত নয়। আর বিয়ের পর দ্রুত সন্তানের মা হয়ে যাওয়া বা ঘনঘন সন্তান প্রসব নারীর স্বাস্থ্য ও সৌন্দর্য দুটোই নষ্ট করে ফেলে। সন্তান ধারণ অনেক ধকলের একটি কাজ। অধিক সন্তান হলে তার বিরূপ প্রভাব নারীর দেহে প্রকট হয়ে দেখা দেয়।

সন্তান হবার পর নিজের যত্ন না নেয়া

আমাদের দেশের মেয়েদের মাঝে এটি আরও বড় একটি সমস্যা। সন্তান হবার পর খুব সংখ্যক নারীই নিজের স্বাস্থ্য ও সৌন্দর্যের দিকে খেয়াল করেন না। সন্তান হবার সময় যে বাড়তি ওজন হয়, সেটা ঝরিয়ে ফেলা খুবই জরুরি। নইলে ওজন বাড়তে থাকে আর বাড়তেই থাকে। অন্যদিকে সন্তান হবার সময় ত্বক ও চুলের ক্ষতি হয় অনেকেরই। সন্তানের যত্ন তো করতেই হবে। কিন্তু নিজের সৌন্দর্যের জন্যও সময় বের করতে হবে। সুষম আহার, ব্যায়াম ও নিয়মিত সৌন্দর্যচর্চাই এর সমাধান।

ভুল নাকফুল নির্বাচন

বিবাহিত নারীরা নাকফুল পড়ে থাকেন। কিন্তু ভুল নাকফুল নির্বাচনের কারণে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তা বাড়িয়ে তোলে আপনার বয়স। যেমন, যাদের নাক বোঁচা বা একটু মোটা, তারা কখনোই বড় নাকফুল বা নোলক পরিধান করবেন না। নাকফুল যত ছোট হয়, ততই সুন্দর। যাদের নাক খুব বেশি চিকন, তারাও বড় নাকফুল পরিহার করুন। যত সিম্পল ডিজাইনের নাকফুল, বয়স দেখাবে ততই কম। যত বড় পরবেন, আপনাকে ততটাই বয়স্ক দেখাবে।

ব্যায়ামের অভ্যাস না থাকা

অনেক নারীদের মাঝেই ব্যায়ামের অভ্যাস খুব কম। কিন্তু আসলে অল্প বয়স হতেই এই অভ্যাস গড়ে তোলা অত্যন্ত জরুরি। ব্যায়াম কেবল দেহের ওজনই ঠিক রাখে না, পাশাপাশি ত্বককে রাখে টানটান ও যৌবনদীপ্ত। শারীরিক ক্ষমতাও রাখে উচ্ছল।

অতিরিক্ত গয়না পরা

বিয়ের পর গয়না পরার প্রবণতা আরো বাড়ে। কিন্ত অতিরিক্ত গয়না পরার আগে মনে রাখবেন, যত জবড়জং গয়না পরবেন, আপনাকে ততই বয়স্ক দেখাবে। তাই সিম্পল গয়নায় নিজেকে সাজিয়ে তুলুন।

ভুল পোশাক নির্বাচন

বিয়ে এবং কয়েকটি সন্তান হয়ে যাওয়ার পর অনেক নারীই আর নিজের পোশাকের দিকে খেয়াল রাখেন না। এটি খুব বড় একটি ভুল। আপনার বয়স যতই হোক না কেন, ওজন যেমনই হোক না কেন, সুন্দরভাবে পোশাক পরলে সবই দৃষ্টিনন্দন মনে হবে। নিজের দেহের সঙ্গে মানানসই কাট ছাঁট ও রঙের পোশাক নির্বাচন করুন। সুন্দর রঙের পোশাক পরিধান করুন। দেখেবন নিজের কাছেও নিজেকে দেখতে ভালো লাগছে।

বাজে হেয়ার স্টাইল

চুলের কাট একজন মানুষের বয়সে বিরাট ভূমিকা রাখে। আপনার সন্তান হয়েছে বলেই নিজের চুলগুলো কোনরকম বেণী বা খোঁপা করে ফেলে রাখবেন, এমন ধারণা থেকে বের হয়ে আসুন। ভালো পার্লারে গিয়ে সুন্দর একটি মানানসই হেয়ারকাট মেইনটেইন করবেন। চুলে খুব বেশি রঙ না করিয়ে ন্যাচারাল রঙের কাছাকাছি শেড ব্যবহার করুন। অতিরিক্ত রঙ ব্যবহারেও বয়স্ক দেখায়।

প্রয়োজনীয় ও পর্যাপ্ত পুষ্টি উপাদানের অভাব

সঠিক পুষ্টির অভাবে কেবল আপনার সৌন্দর্যই হারিয়ে যায় না, প্রভাব পড়ে আপনার স্বাস্থ্যেও। তাই নিজের জন্য একটি সঠিক খাদ্য তালিকা মেনে চলুন। তবে বয়স শরীরে নয়, বয়স নিজের মনে। নিজের মনের মত করে নিজেকে সাজিয়ে তুলুন, নিজেকে যত্ন করুন, নিজের খেয়াল রাখুন। তাহলেই বয়সের আগেই বয়স্ক দেখানোর সমস্যা আর থাকবে না।

আরএম-১০/২৩/০৮ (লাইফস্টাইল ডেস্ক)