যে ৫ ধরনের পুরুষকে মেয়েরা সবসময়ে এড়িয়ে চলেন

যে ৫ ধরনের

নোংরা জামা, গায়ে ঘামের দুর্গন্ধ কিংবা চুলে জট আর উকুন যাঁদের— সেইসব পুরুষকে তাঁরা এড়িয়ে চলতে চান।

কাকে কার পছন্দ হবে তার কোনও বাঁধাধরা নিয়ম অবশ্যই নেই। নিজের রুচি, ভাললাগার ভিত্তিতে প্রত্যেক মানুষ তাঁর সঙ্গী বা সঙ্গিনীকে বেছে নেন। তবু সাধারণভাবে দেখা যায়, বিশেষ কিছু ধরনের পুরুষ রয়েছেন যাঁদের এড়িয়ে চলেন মেয়েরা। কারা তাঁরা? এখানে রইল তেমনই ৫ ধরনের পুরুষের হদিশ—

১. মূর্তিমান আস্তাকুঁড়: মেয়েরা নিজেরা সাধারণত পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকতেই ভালবাসেন। তাই পুরুষ হিসেবেও তাঁরা পছন্দ করেন তাঁদেরই যাঁরা নিজেরা ফিটফাট থাকেন। নোংরা জামা, গায়ে ঘামের দুর্গন্ধ কিংবা চুলে জট আর উকুন যাঁদের— সেইসব পুরুষকে তাঁরা এড়িয়ে চলতে চান।

২. হাত দিয়ে জল গলে না: কিপটে মানুষদের শুধু মেয়েরা কেন, সঙ্গী হিসেবে কেউই পছন্দ করে না। রাস্তায় বেরোলে যে পুরুষ বান্ধবীকে ফুচকা ছাড়া আর কিছু খাওয়ার প্রস্তাব দেয় না, সিনেমা দেখতে হলে মাল্টিপ্লেক্সের বদলে ছারপোকাওয়ালা সিট সম্পন্ন ধ্যাড়ধ্যাড়ে হলে নিয়ে যায়, তাঁদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে কোন মেয়েই বা চাইবে!

৩. মাতৃভক্ত: বাবা-মা-র প্রতি কোনও ছেলের ভক্তি-শ্রদ্ধা থাকলে কোনও মেয়ের তাতে সাধারণভাবে আপত্তি করার কথা নয়। কিন্তু বান্ধবীকে নিয়ে রেস্তোরাঁয় খেতে গেলেও যে ছেলে আগে মা-কে ফোন করে অনুমতি নেয়, তাকে মেয়েরা দুগ্ধপোষ্য শিশু বলে ভাবতে পারে, বন্ধু বা প্রেমিক মনে করা অসম্ভব।

৪. শিশু-বিরোধী: এটা বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত যে, মেয়েরা সাধারণত সেইসব ছেলেকে বেশি পছন্দ করে যারা শিশুদের ভালবাসে। আসলে কোনও মেয়ে যখন কোনও পুরুষের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি সম্পর্কের কথা ভাবে, তখন তার সঙ্গে সংসারজীবন কেমন হতে পারে, কিংবা এই মানুষটি তার সন্তানের বাবা হিসেবে কেমন হতে পারে, সেইসব ভাবনাও তাদের মনে খেলা করে। কাজেই যে ছেলে শিশুদের দেখলে বিরক্ত বোধ করে, তাদের কোলে নিয়ে আদর করার ইচ্ছে প্রকাশ করে না, সঙ্গী হিসেবে তাদের পছন্দ করে না মেয়েরা।

৫. চিরশিুশু‌: বড় হওয়ার পরেও কারো মধ্যে ছেলেমানুষি না ঘুচতেই পারে, অনেক মেয়ে সেই বিষয়টাকে বেশ ‘কিউট’ বলেও মনে করে। কিন্তু ছেলেমানুষির অর্থ যদি হয় অপরিণত বুদ্ধির মতো আচরণ করা তাহলে বিপদ। যে ছেলে নিজে কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারে না, কিংবা মানসিকভাবে কাউকে ভরসা দিতে পারে না, তেমন ছেলেকে নিজের প্রেমিক বা সঙ্গী হিসেবে পছন্দ নয় অধিকাংশ মেয়েরই।

আরএম-৪২/২২/০৯ (লাইফস্টাইল ডেস্ক)