খাওয়ার আগে নিজেকে যে ৪ প্রশ্ন করবেন

খাওয়ার আগে

ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে খাবারের তালিকাও হওয়া চাই সঠিক। কিন্তু সব সময় কি আর তালিকা মেনে খাওয়া চলে? একটু এদিক-ওদিক হয়েই যায়। বিশেষ করে যখন খুব ক্ষুধা লাগে, যখন প্রিয় কোনো খাবার সামনে চলে আসে কিংবা যখন মনটা খারাপ থাকে।

অনেক সময় কাজের ফাঁকে হাতের কাছে যা পাওয়া যায়, তাই পেটে চালান করে দেয়ার অভ্যাসও গড়ে ওঠে। ক্রমাগত এমন সব অভ্যাসের কারণেই একটা সময় আর ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হয় না। আর তারই হাত ধরে আসে নানা অসুখ-বিসুখ, শারীরিক জটিলতা। তাই খেতে বসার আগে নিজেকে এই চারটি প্রশ্ন করবেন এবং উত্তর জেনে নিয়ে তবেই সিদ্ধান্ত নেবেন খাওয়া কিংবা না খাওয়ার-

আমার কি সত্যিই ক্ষুধা পেয়েছে?

খেতে বসার আগে এই প্রশ্নটি খুবই প্রাসঙ্গিক। অনেক সময়েই এমন হয়, আমরা খুব বোর হলে বা স্ট্রেসড হলে শান্তনার জন্যে খাবারের দিকেই হাত বাড়াই। মন খারাপ থাকলেও এমনটা হয়। তখন কিন্তু সত্যিই ক্ষুধা পায় না। আপনারও এমনটা হলে, আগে একগ্লাস পানি খান। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন। দেখবেন ক্ষুধা ভাবটা কমে গিয়েছে।

এই খাবার কি আদৌ স্বাস্থ্যকর?

খাবার পেলেন আর খেয়ে নিলেন, এমনটা করতে যাবেন না যেন। প্লেটে খাবার তোলার আগে তার কতটা পুষ্টিগুণ রয়েছে সে সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে নিন। ফাস্টফুডে কিন্তু কোনো পুষ্টি পাবেন না। চেষ্টা করুন এমন খাবার খেতে যাতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইবার, প্রোটিন, ভিটামিন এ, পটাশিয়াম রয়েছে।

খাবারের পরিমাণ ঠিক আছে তো?

যখন ক্ষুধা লাগে, তখন কোনোদিকে না তাকিয়ে আমরা হাপুস-হাপুস খেয়ে ফেলি। বেশি খাওয়ার কারণে তখনই বাঁধে বিপত্তি। ডায়েট মানে শুধু কম ক্যালরি এবং পুষ্টিতে ভরপুর খাবার নয়, ডায়েট মানে পরিমাণ নিয়ন্ত্রণও বটে। খাবার সময়ে বড় প্লেটে খাবার না নিয়ে ছোট প্লেট এবং বাটিতে সুন্দর করে খাবার সাজিয়ে খেতে বসুন। এতে নিয়ন্ত্রণে থাকবে খাবারের পরিমাণ।

খাবার কি আরও স্বাস্থ্যকর করা যায়?

স্বাস্থ্যকর খাবার আপনার সুস্বাস্থ্যের জন্য কতটা দরকারি সেকথা বলাই বাহুল্য। তাই ফাস্ট ফুড এবং জাংক ফুড থেকে দূরে থাকুন। মিষ্টি জাতীয় খাবার একেবারে বাদ দিন ডায়েট থেকে। অতিরিক্ত তেল ঘি মশলা দেওয়া খাবার যতই সুস্বাদু এবং বাড়িতে তৈরি হোক না কেন, তার থেকে দূরে থাকাই ভালো।

আরএম-১১/০৩/১০ (লাইফস্টাইল ডেস্ক)